পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে
পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে। গত কয়েকদিনে আনুমানিক তিন হাজার পাখির মৃত্যু ঘটেছে ওই পক্ষীনিবাসে। যদিও বনকর্মীদের মতে একটানা প্রবল বর্ষণ আর ঝোড়ো হাওয়ার দাপটই পাখি মৃত্যুর মূল কারণ।
পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে। গত কয়েকদিনে আনুমানিক তিন হাজার পাখির মৃত্যু ঘটেছে ওই পক্ষীনিবাসে। যদিও বনকর্মীদের মতে একটানা প্রবল বর্ষণ আর ঝোড়ো হাওয়ার দাপটই পাখি মৃত্যুর মূল কারণ।
মূলত জুন-জুলাই মাসে মায়ানমার, মালেয়েশিয়া থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি হাজির হয় কুলিক পক্ষীনিবাসে। অগাস্ট মাস এখানেই ডিম পাড়ে তারা। জন্মের পর অক্টোবর মাস নাগাদই উড়তে শেখে শাবকরা। আর ডিসেম্বর এলেই ঘরে ফেরার পালা। তখন দল বেঁধে ফিরে যায় পাখিরা। তবে কিন্তু বহু পাখিরই আর ঘরে ফেরা হবে না। কারণ গত কয়েকদিনে বেশ কিছু পাখির মৃত্যু হয়েছে এই পক্ষীনিবাসে। যার ফলে চরম উদ্বেগে রয়েছেন কুলিক পক্ষীনিবাসের কর্মীরা। অষ্টমীর রাত থেকেই রায়গঞ্জে শুরু হয় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। প্রবল বর্ষণের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কুলিক পক্ষীনিবাসও। মনে করা হচ্ছে, তখনই মারা যায় বহু পাখি।
পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যু চিন্তায় ফেলেছে কুলিক পক্ষীনিবাসের কর্মীদের। দূষণ আটকাতে ইতিমধ্যেই পক্ষীনিবাসের ভিতরেই মৃত পাখিগুলিকে মাটি চাপা দিয়েছেন রায়গঞ্জ বনবিভাগের কর্মীরা। আহত পাখিদেরও চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে।