মাধ্যমিকে সফল লড়াকু মৌমিতা
একসময় লেখাপড়ার জন্য নিজের বিয়ে রুখে দিয়েছিল নদীয়ার আইশমালির নাবালিকা মৌমিতা খাতুন। পরিবারের প্রবল বিরোধিতার মুখে নিজের ইচ্ছাশক্তিতর জেরে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল মৌমিতা। আইশমালির স্কুল থেকে একমাত্র স্টার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে লড়াকু মৌমিতা।
একসময় লেখাপড়ার জন্য নিজের বিয়ে রুখে দিয়েছিল নদীয়ার আইশমালির নাবালিকা মৌমিতা খাতুন। পরিবারের প্রবল বিরোধিতার মুখে নিজের ইচ্ছাশক্তিতর জেরে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল মৌমিতা। আইশমালির স্কুল থেকে একমাত্র স্টার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে লড়াকু মৌমিতা।
বিয়ে রুখে দিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল মৌমিতার নাম। সেই থেকে পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরর তাঁর। দাঁতে দাঁত চেপে চালিয়ে যাওয়া সেই লড়াইয়ের প্রথম সাফল্য এল মঙ্গলবার। ৪টি বিষয়ে লেটার মার্কস নিয়ে মৌমিতার প্রাপ্ত নম্বর ৫৪৫। লক্ষ্য ভবিষ্যতে চিকিত্সক হওয়া। ইতিমধ্যেই খড়গপুরের আল আমিন মিশনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে মৌমিতা।
বাবা পেশায় দিন মজুর। বাড়িতে পাঁচ ভাইবোন। অভাবের কারণেই তাই একসময় মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বাবা। তবে সাফল্যে গর্বিত বাবার সামনে মেয়ের স্বপ্নপূরণই এখন লক্ষ্য। লেখাপড়ার জন্য নিজের বিয়ে রুখে দেওয়ার স্বীকৃতি এসেছিল সরকারের তরফে। সেসময় সাহসের জন্য পুরস্কারের পাশাপাশি মৌমিতার যাবতীয় লেখাপড়ার খরচ বহনের আশ্বাস দিয়েছিলেন ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে সরকার বদলে যাওয়ায় সেই সাহায্য আর এসে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ নিম্নবিত্ত ওই পরিবারের।