অসুস্থ রেজ্জাকের রিলিজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এমআরআই রিপোর্ট

এমআরআই রিপোর্ট বলছে, মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লেগেছে রেজ্জাক মোল্লার। তবু সোমবারই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কেন? তবে কি চাপে পড়েই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর এন টেগোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

Updated By: Jan 9, 2013, 08:32 PM IST

এমআরআই রিপোর্ট বলছে, মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লেগেছে রেজ্জাক মোল্লার। তবু সোমবারই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কেন? তবে কি চাপে পড়েই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর এন টেগোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?
রেজ্জাক মোল্লার  রিপোর্ট জানাচ্ছে, তাঁর মেরুদণ্ডে গুরুতর চোট আছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রেজ্জাক মোল্লার মেরুদণ্ডের এল-ওয়ান হাড়ে চিড় ধরেছে। হাড়টি বেঁকে গিয়েছে। মেরুদণ্ডের এল-টু এল-থ্রি, এল-থ্রি এল-ফোর, এল-ফোর এল-ফাইভ এবং এল ফাইভ-এস ওয়ান হাড়ের মধ্যবর্তী গ্রন্থিও নড়ে গিয়েছে। জল জমেছে কোমরের হাড়ের একাংশে। মেরুদণ্ডে কীভাবে এতটা আঘাত লাগল? এমআরআই রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাকিউট ট্রমাটিক ফ্র্যাকচার বা তীব্র আঘাতের কারণেই সিপিআইএম বিধায়কের মেরুদণ্ডে চিড় ধরেছে। অথচ সোমবারই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, রেজ্জাক মোল্লা সম্পূর্ণ সুস্থ। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সে কথা বলেছিলেন শিল্পমন্ত্রীও।
চোয়ালেও আঘাত আছে কিনা জানতে সিটি স্ক্যান করার কথাও ভাবছেন চিকিত্‍সকরা। প্রশ্নটা তাই উঠছে। সত্তরোর্ধ সিপিআইএম বিধায়ক প্রথম দিন থেকেই বারবার বলছিলেন, তাঁর কোমরে খুব ব্যথা। তবু শুধু এক্স রে করেই কেন তাঁকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? সেই নিয়েই সংশয় বাড়ছে। কারণ রেজ্জাক মোল্লার এমআরআই রিপোর্ট দিতেও টালবাহানা হয়। সোমবারই রেজ্জাক মোল্লাকে ছেড়ে দেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক প্রভাবের কথা বলেছিলেন সিপিআইএম নেতারা। তবে কি বাম নেতাদের অভিযোগই সত্যি ? রাজনৈতিক চাপেই কি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে চাইছিল মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পাওয়া সত্তরোর্ধ রেজ্জাক মোল্লাকে?
   
  
 

.