সরকারের নতুন জমি নীতি, রাজ্যের শিল্প ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে

শিল্পের জন্য জমির ছাড়পত্র পাওয়ার নতুন নীতি লাগু করেছে সরকার। যার জেরে রাজ্যের শিল্প ভবিষ্যৎ আবার একটি বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে বলে মনে করছে শিল্পমহল। এই নীতির জেরে কোনও শিল্প সংস্থা বিনিয়োগের সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর জমির জন্য প্রায় দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে। প্রশ্ন তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে কোনও শিল্পপতি কি বিনিয়োগের জন্য দেড় বছর অপেক্ষা করবেন?  

Updated By: Mar 14, 2013, 03:32 PM IST

শিল্পের জন্য জমির ছাড়পত্র পাওয়ার নতুন নীতি লাগু করেছে সরকার। যার জেরে রাজ্যের শিল্প ভবিষ্যৎ আবার একটি বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে বলে মনে করছে শিল্পমহল। এই নীতির জেরে কোনও শিল্প সংস্থা বিনিয়োগের সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর জমির জন্য প্রায় দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে। প্রশ্ন তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে কোনও শিল্পপতি কি বিনিয়োগের জন্য দেড় বছর অপেক্ষা করবেন?  
প্রথম ধাপ-সরকারের হাতে থাকা জমির বিবরণ দেখে আবেদন। আবেদনপত্র গ্রহণের পর কমপক্ষে একমাস তা শিল্পোন্নয়ন নিগমের ওয়েবসাইটে থাকবে। দ্বিতীয় ধাপ-আবেদনপত্র মূল্যায়ণ করবে ট্রানজাকশন অ্যাডভাইজর। অর্থ দফতর নির্ধারিত ট্রানজাকশন অ্যাডভাইজরের তালিকা থেকে কোনও একটি সংস্থাকে সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়ায় বেছে নেওয়া হবে। ট্রানজাকশন অ্যাডভাইজর কর্মসংস্থান, কর-রাজস্ব আদায়, অনুন্নত এলাকার উন্নয়নের মতো বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে ওই শিল্পায়ন প্রস্তাবের মূল্যায়ণ করবে।
তৃতীয় ধাপ-মূল্যায়ণ রিপোর্ট যাবে শিল্পোন্নয়ন নিগমের কাছে। নিগমের এগারো সদস্যের প্রত্যেকের উপস্থিতি ও সম্মতিতে সেই বিনিয়োগ প্রস্তাব পাস হতে হবে
চতুর্থ ধাপ-শিল্পোন্নয়ন নিগমে পাস হওয়া প্রস্তাব নিয়ে ক্যাবিনেটে আলোচনা হবে। একাধিক কোম্পানি আবেদন করে থাকলে যে সর্বোচ্চ দর দেবে তাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে
পঞ্চম ধাপ-আইন দফতরের সঙ্গে আলোচনার পর ওই জমিতে নির্দিষ্ট শিল্পায়ন সংক্রান্ত লেটার অফ ইনটেন্ট পেশ করা হবে
ষষ্ঠ ধাপ-শিল্পায়ন নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বন ও পরিবেশ দফতর, বিদ্যুত্ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মতো একাধিক দফতরের সবুজ সঙ্কেত লাগবে। খতিয়ে দেখা হবে জ্বালানি ও জলের সরবরাহের বিষয়টিও। শেষ ধাপে এসে স্বাক্ষরিত হবে জমি হস্তান্তর দলিল।
শিল্প দফতরের আধিকারিক এবং বণিক মহলের মতে এই গোটা প্রক্রিয়া মেনে নির্দিষ্ট একটি শিল্পপ্রস্তাবে জমির লিজ পেতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কমপক্ষে দেড়বছর লেগে যাবে। যেখানে গুজরাত, মহারাষ্ট্র এমনকি বিহারের মতো রাজ্যগুলিতে এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগে মাত্র দু থেকে তিন মাস। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আরও কম। তাই প্রশ্ন উঠছে এই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ল্যান্ড অ্যালটমেন্ট পলিসির বাস্তব ভিত্তি নিয়ে। 
সরকারের জমি নীতি এবং আকর্ষণীর ইনসেনটিভ স্কিমের অভাব ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে অনীহা দেখা দিয়েছে শিল্পমহলে। সেই অবস্থায়, কোন বাণিজ্যিক যুক্তিতে শিল্পপতিরা পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন এখন প্রশ্ন তা নিয়েই।

.