খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রত্যক্ষ জামাত যোগের কথা জানিয়ে দিল NIA
খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতউল মুজাহিদিনের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে এই কথাই জানিয়ে দিল এনআইএ। আজ বর্ধমান,নদিয়া,বীরভূমে তল্লাসি চালায় এনআইএ।
খাগড়াগড় কাণ্ডের তদন্তের সহায়তায় আজ এনএসজির যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায়।খাগড়াগড় কাণ্ডে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত যোগের সন্দেহ ক্রমশই জোরালো হচ্ছিল। সেই সন্দেহকেই এবার নিশ্চিত করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠানো এনআইএ-র রিপোর্ট। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, খাগড়াগড় কাণ্ডে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। দেখা হচ্ছে অন্যান্য আন্তর্জাতিক জঙ্গি যোগের সম্ভাবনাও।
সাত পাতার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে জঙ্গি সংগঠনের নেটওয়ার্ক শুরু হয় ২০১১ সালের অক্টোবরে। তারপর থেকেই বিভিন্ন জেলায় শাখা প্রশাখা বেড়েছে। মালদা ও মুর্শিদাবাদেই জঙ্গি জাল সবচেয়ে বিস্তৃত বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবারও এনআইএ টিম তল্লাসি চালায় বর্ধমানের খাগড়াগড়ে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বেশকিছু নথি ও রাসায়নিক দ্রব্য। তল্লাসি চালানো হয় এনআইএ-র ডিআইজি অনুরাগ তঙ্কার নেতৃত্বে। খাগড়াগড়ের পর শিমুলিয়ার তামিলপুকুরে হানা দেয় এনআইএ। সেখানে আরও একটি অবৈধ মাদ্রাসা গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। কেনা হয়েছিল ২৫ কাঠা জমিও। NIA তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। শিমুলিয়ার পর বর্ধমানে পূবস্থলীতে বোরহান শেখের বাড়িতেও এদিন তল্লাসি হয়।
নদিয়ার করিমপুরে জহিরুল শেখের বাড়িতেও আজ হানা দেয় এনআইএ টিম। কয়েকদিন আগেই জহিরুলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় জিলেটিন স্টিক। খাগড়াগড় কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে জহিরুলের। বোলপুরের এসডিপিও অফিসে এনাআইএ টিম যায়। মঙ্গলবার খাগড়াগড় কাণ্ডে কীর্নাহারের কাজিপাড়া থেকেআটক করা হয় কাজি ফৈজুল্লাহকে। বুধবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ । কীর্নাহারে কদর শেখের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত সামগ্রীও পরীক্ষা করে দেখে তারা।