স্যালাইনের চ্যানেল খুলতে গিয়ে শিশুর আঙুল কেটে বাদ দিলেন নার্স!
প্রথমে স্যালাইনের চ্যানেল খুলতে গিয়ে শিশুর আঙুল কেটে বাদ দিলেন নার্স। তারপর তা জুড়তে এমন হাসপাতালে রেফার করা হল, যেখানে প্লাস্টিক সার্জারির কোনও ব্যবস্থাই নেই। চিকিত্সায় পর পর মর্মান্তিক গাফিলতির জেরে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে চূড়ান্ত বিপদে বালুরঘাটের এক পরিবার। বেআব্রু রাজ্যের সরকারি চিকিত্সায় নৈরাজ্যের ছবি। অভিযুক্ত নার্সকে পাঁচ দিনের ছুটি পাঠাল বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে স্যালাইনের চ্যানেল খুলতে গিয়ে শিশুর আঙুল কেটে বাদ দিলেন নার্স। তারপর তা জুড়তে এমন হাসপাতালে রেফার করা হল, যেখানে প্লাস্টিক সার্জারির কোনও ব্যবস্থাই নেই। চিকিত্সায় পর পর মর্মান্তিক গাফিলতির জেরে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে চূড়ান্ত বিপদে বালুরঘাটের এক পরিবার। বেআব্রু রাজ্যের সরকারি চিকিত্সায় নৈরাজ্যের ছবি। অভিযুক্ত নার্সকে পাঁচ দিনের ছুটি পাঠাল বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আটদিনের শিশুটি ভর্তি হয়েছিল ডায়রিয়ার চিকিত্সার জন্য। কিন্তু নার্সের গাফিলতিতে বাদ গেল আঙুল। দাসুলের বাসিন্দা বাবলা মন্ডল তাঁর শিশুসন্তানকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন শুক্রবার।
অঘটনের খবর আসে রবিবার রাতে। হাসপাতালের কোনও হেলদোল নেই। শিশুটির কাটা আঙুলটাও তার বাবাকেই খুঁজে বের করতে হয়। এরপরই হাসপাতালের গাফিলতি নিয়ে সরব হন শিশুর আত্মীয়রা। পুলিসের কাছেও অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তের আশ্বাস দেন হাসপাতাল সুপার।
দিশেহারা পরিবারটির ভোগান্তি অবশ্য এখানেই শেষ হয়নি। শিশুর কাটা আঙুল জুড়তে তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিত্সকেরা। তড়িঘড়ি সেখানে ছুটেও গিয়েছিল দরিদ্র পরিবারটি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। প্লাস্টিক সার্জারির ব্যবস্থা নেই। তবু শিশুর আঙুল জুড়তে সেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেই পাঠানো হল পরিবারটিকে। ফলে সঙ্কটজনক শিশুকে নিয়ে এক সরকারি হাসপাতাল থেকে অন্য সরকারি হাসপাতালে অসহায় ভাবে ঘুরতে হল পরিবারকে। কে জবাব দেবে? জানা নেই ওই পরিবারের।