ভগ্ন দশার পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটে

মাথাভাঙায় পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটের জন্য বরাদ্দ করা হবে আরও দেড় কোটি টাকা। সংস্কার হবে খলিসামারির গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দিলদরিয়া নদীর। রাজ্যে পালাবদলের পর এমনই প্রতিশ্রুতি ছিল নতুন সরকারের। কিন্তু টাকাও বরাদ্দ হয়নি। বাম আমলে গড়া কমিটিও উঠে গিয়েছে। পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটে এখন কার্যত ভুতুড়ে বাড়ি।

Updated By: May 21, 2013, 10:27 AM IST

মাথাভাঙায় পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটের জন্য বরাদ্দ করা হবে আরও দেড় কোটি টাকা। সংস্কার হবে খলিসামারির গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দিলদরিয়া নদীর। রাজ্যে পালাবদলের পর এমনই প্রতিশ্রুতি ছিল নতুন সরকারের। কিন্তু টাকাও বরাদ্দ হয়নি। বাম আমলে গড়া কমিটিও উঠে গিয়েছে। পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটে এখন কার্যত ভুতুড়ে বাড়ি।
পঞ্চানন বর্মা। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, গোটা উত্তরপূর্ব ভারতে এক সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। রাজবংশী সম্প্রদায়ের সামাজিক স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর ভূমিকা পথ প্রদর্শকের। মাথাভাঙার খলিসামারি গ্রামে পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটে। বাম আমলে সংরক্ষণের জন্য জন্মভিটে  অধিগ্রহণের দাবি ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে, দুহাজার নয় সালে বাম সরকার অধিগ্রহণ করে পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটে।  ঠিক হয় পঞ্চানন বর্মার নামে তৈরি হবে গবেষণাগার এবং সংগ্রহশালা। দায়িত্ব নেবে একটি কমিটি। প্রাথমিকভাবে সত্তর লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে সরকার। শিলান্যাস হয় ২০১১-র গোড়ায়। এরপর রাজ্যে সরকার বদল। নতুন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বরাদ্দ করা হবে আরও দেড় কোটি টাকা। স্থানীয় বিধায়ক এবং বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন জানিয়েছিলেন, সংস্কার করা হবে খলিসামারি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দিলদরিয়া নদী।  কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। পঞ্চানন বর্মার ভিটে এখন কার্যত ভুতুড়ে বাড়ি।
 বাম আমলে তৈরি হওয়া কমিটির এখন অস্তিত্ব নেই। বরাদ্দ হয়নি আর কোনও টাকা।শুরু হয়নি কাজ। এঘটনায় রীতিমতো হতাশ পঞ্চানন বর্মার অনুরাগীরা। এই প্রকল্প নিয়ে কেন নীরব রাজ্য সরকার, প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন বনমন্ত্রী।

.