"আমি কোনও নির্দেশ দিইনি", ঢোক গিললেন পার্থ
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিসি অভিযান চলেছিল দুবরাজপুরে। এমন খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকে `ড্যামেজ কন্ট্রোলে` নামেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিল্পমন্ত্রী বলেন, "আপনারা ভুল খবর দেখাচ্ছেন। আমি কোনও নির্দেশ দিইনি। দফতর কোনও নির্দেশ দিইনি। সরকারের তরফে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তদন্ত চলছে। যা সত্য তা প্রকাশ হবে। সব ভুল দেখানো হচ্ছে। ওখানে উগ্র লেফ্ট এক্সট্রিমিস্টদের মদত রয়েছে।
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিসি অভিযান চলেছিল দুবরাজপুরে। এমন খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকে `ড্যামেজ কন্ট্রোল` -এ নামেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিল্পমন্ত্রী বলেন, "আপনারা ভুল খবর দেখাচ্ছেন। আমি কোনও নির্দেশ দিইনি। দফতর কোনও নির্দেশ দিইনি। সরকারের তরফে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তদন্ত চলছে। যা সত্য তা প্রকাশ হবে। সব ভুল দেখানো হচ্ছে। ওখানে উগ্র লেফ্ট এক্সট্রিমিস্টদের মদত রয়েছে। সকালবেলাই তির-ধনুক নিয়ে দলে দলে সবাই চলে এল? আমরা তো জমি দিইনি। জমি দিয়েছে লেফ্ট ফ্রন্ট। কোল ব্লকও দিয়েছে লেফ্ট ফ্রন্ট। তিন বছর ধরে সমস্যা চলছে।"
তবে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে খোদ শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ১৩টি থানার পুলিস জড়ো হয়েছিল ওইদিন লোবা গ্রামে। যদিও গোয়েন্দা রিপোর্টে গ্রামে উত্তেজনা থাকার কথা বলা হয়েছিল। এমনকী অভিযান হলে পাল্টা হামলার আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছিল। এই তথ্য জানার পরেও শুধুমাত্র সরকারের চাপে পড়েই শেষপর্যন্ত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় বীরভূম জেলা পুলিস। নভেম্বর ৪-এ ১৩টি থানার ওসিকে নিয়ে বৈঠক করেন পুলিস সুপার। বৈঠকে লোবা গ্রামের পরিস্থিতির ওপর দেওয়া গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়। লোবা গ্রামে পুলিসি অভিযানের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় ডিআইজি বর্ধমান রেঞ্জকেও। অভিযানের কথা জানানো হয় আইজি পশ্চিমাঞ্চলকেও। পাঁচ নভেম্বর এমটার তরফে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঠিক তার পরের দিন ভোরে অভিযান চালানো হয় লোবা গ্রামে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে আরও জানা গিয়েছে যে বেঙ্গল এমটার মাটি কাটার মেশিনটি উদ্ধার করার জন্য শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই পুলিসকে চাপ দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে পুলিসের ওপর স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের চাপ ছিল বলেও জানা গেছে। দুবরাজপুরে গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনার পরই বীরভূমের পুলিস সুপার হৃষিকেশ মিনাকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিস সুপার বলেন, তাঁর ওপর চাপ ছিল। চাপের কারণেই তিনি লোবা গ্রামে পুলিসি অভিযান চালাতে বাধ্য হন।
এরপর বৃহস্পতিবার মহাকরণে লোবাগ্রামে পুলিসি অভিযান নিয়ে তাঁর ও সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও, গ্রামবাসীদের দাবি এই অভিযানে সামিল হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি খোদ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।