আলিপুরদুয়ার থেকে অসম যাওয়ার পথে লাইনচ্যুত প্যাসেঞ্জার ট্রেন
আলিপুরদুয়ার থেকে অসমে যাওয়ার পথে বাসুগাঁওয়ের কাছে লাইনচ্যুত হল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। চম্পা নদীতে পড়ে গিয়েছে শিফুং ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও প্রথম কামরাটি। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও, দুর্ঘটনার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ-অসম ট্রেন পরিষেবা।
ব্যুরো: আলিপুরদুয়ার থেকে অসমে যাওয়ার পথে বাসুগাঁওয়ের কাছে লাইনচ্যুত হল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। চম্পা নদীতে পড়ে গিয়েছে শিফুং ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও প্রথম কামরাটি। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও, দুর্ঘটনার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ-অসম ট্রেন পরিষেবা।
বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে বহু ট্রেন। সকাল পাঁচটা পনেরো। আলিপুরদুয়ার থেকে অসমের দিকে যাচ্ছিল প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। বাসুগাঁও স্টেশনে ঢোকার আগে ছোট্ট ব্রিজ। ব্রিজে ওঠার মুখেই দুর্ঘটনা। লাইনচ্যুত হয়ে সজোরে ব্রিজে ধাক্কা মারে ট্রেনটি। চম্পা নদীতে পড়ে যায় শিফুং ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও প্রথম কামরাটি। গুরুতর আহত হন চালক ও কয়েকজন যাত্রী।
কী কারণে দুর্ঘটনা? রেলের তরফে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে যতগুলি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শেষপর্যন্ত দোষের আঙুল উঠেছে চালকের দিকেই। কখনও বলা হয়েছে, চালক সুস্থ ছিলেন না। জ্ঞানেশ্বরীর মতো ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পরেও চালকের ঘাড়ে দোষ দিয়েই সে যাত্রা রেহাই পেয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এই দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের কোনও অভাব ছিল কি? রেকে কোনও ত্রুটি ছিল না তো? সিগন্যালিং ঠিক ছিল তো? রেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বারবারই সামনে উঠে আসে এ প্রশ্নগুলি। এক্ষেত্রেও উঠছে। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা থাকলে তা স্বীকার করবে তো রেল কর্তৃপক্ষ? যে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে আর দুএকটি কামরা পড়লেই বহু যাত্রী প্রাণ হারাতে পারতেন। ফলে আসল কারণ চিহ্নিত না করে শুধু চালকের ঘাড়ে দোষ চাপালে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার দরজা কিন্তু খুলে রাখবে রেল কর্তৃপক্ষ।