জামালপুরে উদ্ধার দেহের ময়নাতদন্ত

জামালপুরে নদীর চর থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ এবং কঙ্কালের ময়নাতদন্ত হল বুধবার। বর্ধমান পুলিসমর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। এদিন দুপুরে সিআইডির তদন্তকারী অফিসার জয়ব্রত গাঙ্গুলী বর্ধমানের পুলিসমর্গে যান। তদন্তের বিষয়ে কথা বলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সঙ্গে।

Updated By: Jul 18, 2012, 09:46 PM IST

জামালপুরে নদীর চর থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ এবং কঙ্কালের ময়নাতদন্ত হল বুধবার। বর্ধমান পুলিসমর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। এদিন দুপুরে সিআইডির তদন্তকারী অফিসার জয়ব্রত গাঙ্গুলী বর্ধমানের পুলিসমর্গে যান। তদন্তের বিষয়ে কথা বলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সঙ্গে।
মঙ্গলবারই জামালপুরে মাটি খুঁড়ে দেহ এবং কিছু দেহাংশ উদ্ধার হয়। হোমের অ্যাম্বুল্যান্স চালক সোমনাথ রায় ওরফে সানির জবানবন্দীর ভিত্তিতেই দামোদরের চরে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় দেহ। প্রথম গর্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। দ্বিতীয় গর্ত থেকে উদ্ধার হাড়গোড়, মাথার খুলি। দেহের কিছু জায়গায় পচন ধরলেও অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, খুব সম্প্রতিই পোঁতা হয়েছে দেহটি। উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটিরও খুলি আড়াআড়িভাবে ভাঙা। এদিকে গুড়াপ কাণ্ডে মঙ্গলবার আরও দুজনকে আটক করেছে পুলিস। আটক রঘুনাথ সাঁতরা হোমের অ্যাম্বুল্যান্স চালক। অন্যজন বিশ্বনাথ মুর্মু। তিনি হোমের ট্রাক্টর চালক।
২৪ ঘণ্টার তদন্তের জেরে রবিবারই বর্ধমানের জামালপুরে দামোদরের চরে খেজুরদহ হোমের পাঁচ আবাসিকের দেহ পুঁতে ফেলার অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে গুড়াপ থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, ঝর্না সামন্ত, রমজান বিবি, অনু ঘোষ, সুনীতা পাসোয়ান এবং পিঙ্কি, এই পাঁচ মহিলার দেহ জামালপুরে নিয়ে গিয়ে পুঁতে ফেলা হয়েছে, আর সেটা করেছে হোমের কর্মীদের একাংশ। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমের সেক্রেটারি উদয় চাঁদ কুমারের বিরুদ্ধে।

.