বাঁকুড়ার রামসাগরে ডিম পোনার পর গলদা চাষের বড় প্রকল্পের উদ্যোগ মত্স দফতরের
বাঁকুড়ার রামসাগর দীর্ঘদিন ধরেই ডিম পোনা উত্পাদনের জন্য বিখ্যাত। শুধু রাজ্যেই নয়, রামসাগরের ডিম পোনার বাজার রয়েছে ওড়িশা,অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে। মূলত রুই ও কাতলা মাছের ডিম পোনা উত্পাদন করা হয় রামসাগরে। এবার ডিম পোনা উত্পাদনের পাশাপাশি রামসাগরে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হতে চলেছে চিংড়ি চাষ। একশ দিনের কাজ প্রকল্পে তৈরি বেশ কয়েকটি পুকুরে চিংড়ির চাষ শুরু করল মত্স্য দফতর।
ওয়েব ডেস্ক: বাঁকুড়ার রামসাগর দীর্ঘদিন ধরেই ডিম পোনা উত্পাদনের জন্য বিখ্যাত। শুধু রাজ্যেই নয়, রামসাগরের ডিম পোনার বাজার রয়েছে ওড়িশা,অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে। মূলত রুই ও কাতলা মাছের ডিম পোনা উত্পাদন করা হয় রামসাগরে। এবার ডিম পোনা উত্পাদনের পাশাপাশি রামসাগরে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হতে চলেছে চিংড়ি চাষ। একশ দিনের কাজ প্রকল্পে তৈরি বেশ কয়েকটি পুকুরে চিংড়ির চাষ শুরু করল মত্স্য দফতর।
রাজ্যের প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে ভিন রাজ্য থেকে মাছ আমদানি করতে হয়। কিন্তু সেই বড় মাছের ডিমপোনা এই রাজ্য থেকেই যায় ভিন রাজ্যে। আর ডিমপোনার বেশির ভাগটাই উত্পাদন হয় বাঁকুড়ার রামসাগরে। রামসাগরের মত্স্য ব্যবসায়ীদের মূল পেশাই ডিম পোনা চাষ। এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এই এলাকার মাটির চরিত্র ও আবহাওয়া ডিম পোনা উত্পাদনের অত্যন্ত অনুকুল। এলাকার এই ডিম পোনা উত্পাদনের ব্যবসাকে মাথায় রেখে একশ দিনের কাজে ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি পুকুর কাটা হয়।
এনআইআরইজিএস প্রকল্পের কমিশনার দিব্যেন্দু বিশ্বাস জানাচ্ছেন, পুকুর গুলিতে পরীক্ষামূলক ভাবে চিংড়ির চাষ করে দেখা গেছে বাঁকুড়া রামসাগর এলকায় চিংড়ির উত্পাদনও ভাল হচ্ছে। এর পরেই সরকারি উদ্যোগে চিংড়ি চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে পুকুর গুলিতে গলদা চিংড়ি চাষ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সমবায় ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে। মত্স্য দফতরের আশা গলদা চিংড়ি চাষে সাফল্য মিললে রামসাগর এলাকার অর্থনৈতিক ছবি বেশ খানিকটা বদলে যাবে।
এলকার বেশ কিছু পুকুরে এর আগেও ব্যক্তিগত স্তরে কেউ কেউ গলদা চিংড়ির চাষ করলেও সেরকম ভাবে এই এলাকায় গলদা চাষ হয়নি। সরকারি উদ্যোগে নতুন করে আশার আলো দেখছেন স্থানী মত্স্য ব্যবসায়ীরা।