বাবার মৃত্যু সংবাদে এক যুগ পর জাগরিকে নিয়ে গ্রামে ফিরলেন রাজারাম

পুলিসের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন মাওবাদী দম্পতি রাজারাম এবং জাগরী।  এক যুগ পর বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার স্ত্রী জাগরীকে নিয়ে ঘরে ফিরলেন রাজারাম। 

Updated By: Dec 2, 2011, 05:07 PM IST

বাড়ি থেকে পালিয়ে মাওবাদী দলে যোগদান করেছিলেন। একের পর এক নাশকতায় হাত পাকানো। তারপর পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ। গত সাতই নভেম্বর পুলিসের কাছে আত্মসমর্পন করেন মাওবাদী দম্পতি রাজারাম এবং জাগরী। এরপরই বাবা গুরুদাস সোরেনের মৃত্যুর খবর পান রাজারাম। দীর্ঘ বারো বছর পর বৃহস্পতিবার কড়া পুলিসি প্রহরায় স্ত্রী জাগরীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান রাজারাম।
স্কুলে পড়তে পড়তেই মাওবাদী দলে নাম লিখিয়েছিলেন বাঁকুড়ার রানিবাঁধের মিঠামের বাসিন্দা রাজারাম সোরেন। একদিন বাবা-মায়ের অনুপস্থিতির সুয়োগে বাড়ি থেকে পালান। তারপর দীর্ঘ বারো বছর বাড়ির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক ছিল না গুরুদাস এবং সমনী সোরেনের বড় ছেলেটির। দিন আনি দিন খাই পরিবারের চার ভাইবোনের বড় রাজারাম। রাজারামের অস্ত্রপ্রশিক্ষণ নেওয়া, বা নাশকতা চালানো, এসব খবর কোনও কোনও সময় তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু ছেলের সঙ্গে আর দেখা হয়নি তাঁদের। ইতিমধ্যেই পুলিসের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন মাওবাদী দম্পতি রাজারাম এবং জাগরী।  এক যুগ পর বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার স্ত্রী জাগরীকে নিয়ে ঘরে ফিরলেন রাজারাম।

গত মঙ্গলবার রাজারামের বাবা গুরুরাম সোরোনের মৃত্যু হয়। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন রাজারাম। নিরাপত্তার কথা ভেবে পুরুলিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে মিঠাম গ্রামে যাওয়ার অনুমতি মেলে। রাজারাম, জাগরী এবং তাদের একমাত্র ছেলে বাহাদুরকে কড়া পুলিসি প্রহরায় বৃহস্পতিবার আধঘণ্টার জন্য গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক রাজারাম। এখন এই আশাতেই দিন কাটছে মিঠামের সোরেন পরিবারের। 

.