শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সন পদ থেকে সরানো হল শতাব্দী রায়কে, নেত্রীর অপ্রিয় তাই কি সরানো হল বীরভূমের সাংসদকে? উঠছে প্রশ্ন
নেত্রীর অপ্রিয় হলেই বিপদ। নামবে শাস্তির খাড়া দলে এটা ওপেন সিক্রিটে। নজিরও অনেক আছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল সাংসদ শতাব্দী রায়ের নাম? বীরভূমের শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সন পদ থেকে সরানো হল সাংসদ শতাব্দী রায়কে। তাঁর চেয়ারে বসছেন মত্স মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। বিতর্ক প্রকাশ্যে এসেছিল তখনই।
নেত্রীর অপ্রিয় হলেই বিপদ। নামবে শাস্তির খাড়া দলে এটা ওপেন সিক্রিটে। নজিরও অনেক আছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল সাংসদ শতাব্দী রায়ের নাম? বীরভূমের শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সন পদ থেকে সরানো হল সাংসদ শতাব্দী রায়কে। তাঁর চেয়ারে বসছেন মত্স মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। বিতর্ক প্রকাশ্যে এসেছিল তখনই।
এরপর দল থেকে সতর্ক করা হয়। শেষ পর্যন্ত্য বীরভূমের শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সাংসদ শতাব্দী রায়কে। রীতি অনুসারে স্থানীয় সাংসদরাই এই পদে থেকেছেন। আগে এই পদে কাজ করেছেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, রামচন্দ্র ডোম। কিন্তু এবার কেন সরে যেতে হল সাংসদ শতাব্দী রায়কে? রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা সোমেন মিত্রের উপস্থিতিতে শতাব্দী রায়ের সভায় যোগদানের অনেক আগেই বীরভূমের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত দুভাগে ভাগ হয়েগিয়েছিল।একদিকে অনুব্রত মণ্ডল, চন্দ্রনাথ সিংহ অন্যদিকে সাংসদ শতাব্দী রায় ও তার অনুগামীরা। সম্প্রতি বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর সভাতেও অনুপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। অথচ ওই মঞ্চেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাপট। এরপরেই তৃণমূল নেত্রীর সিদ্ধান্ত অনুসারে সরিয়ে দেওয়া হয় শতাব্দী রায়কে। তার পদে নিয়ে আসা হয়েছে মত্স মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে।
যদিও শীর্ষ নেতৃত্ব এর অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। বিতর্ক এড়াতে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার কথা বলেছেন শতাব্দী রায়।
দিন কয়েক আগেই তার মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ছিল কাজ করুন, নয়তো সরে যান। যদিও এবার কাজ না করার জন্য নয়, দলে অপ্রিয় হওয়ার কারনেই সরে যেতে হল সাংসদ শতাব্দী রায়কে।