ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ বোর্ডের ছাড়পত্র পেল সেবক-রংপো ব্রডগেজ রেল

সবুজ সঙ্কেত পেল সেবক-রংপো ব্রডগেজ রেলপথ। স্টেট ওয়াইল্ডলাইফ বোর্ডের পর এই প্রকল্পকে ছাড়পত্র দিল ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ বোর্ড। তবে এই রেলপথের অনেকটাই যাবে মহানন্দা অভয়ারণ্যের ভেতর দিয়ে। তাই বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন পশুপ্রেমীরা।

Updated By: Jun 30, 2015, 10:35 PM IST

 

ওয়েব ডেস্ক: সবুজ সঙ্কেত পেল সেবক-রংপো ব্রডগেজ রেলপথ। স্টেট ওয়াইল্ডলাইফ বোর্ডের পর এই প্রকল্পকে ছাড়পত্র দিল ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ বোর্ড। তবে এই রেলপথের অনেকটাই যাবে মহানন্দা অভয়ারণ্যের ভেতর দিয়ে। তাই বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন পশুপ্রেমীরা।

অবশেষে ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ বোর্ডের ছাড়পত্র পেল সেবক-রংপো ব্রডগেজ রেল। ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল পথের ৮৫ শতাংশই যাবে মাটির তলা দিয়ে। থাকবে ১৪টি টানেল ও ২৮টি ব্রিজ। নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলকে দ্রুত কাজ শুরুর সবুজ সঙ্কেতও দেওয়া হয়েছে। তবে এই রেলপথ যাবে ছিয়াশি হেক্টর বনভূমির ওপর দিয়ে। তাই রয়েছে বেশ কিছু শর্ত।

অভয়ারণ্যে শ্রমিকদের শিবির করা যাবে না। টানেল সুরক্ষিত করতে হবে যাতে বন্যপ্রাণী ঢুকতে না পারে ট্রেনের গতি বেঁধে দেওয়া হবে, থাকবে জোরাল আলোর ব্যবস্থা থাকবে ওয়্যারলেস অ্যানিমাল ট্র্যাকিং সিস্টেম সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়মিত নজরদারি চলবে।

পুরো প্রকল্পটি রূপায়িত হবে চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে। সিকিমের সঙ্গে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে বলে এই রেলপথকে আগেই ছাড়পত্র দিয়েছিল স্টেট ওয়াইল্ডলাইফ বোর্ড। তবে এই রেলপথের একটা বড় অংশই যাবে মহানন্দা অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে। তাই অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন পশুপ্রেমীরা। নিউজলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার রেলপথ ইতিমধ্যেই হাতিদের মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠেছে। ট্রেনের স্পিড বেঁধে দেওয়ার পরও আটকানো যায়নি দুর্ঘটনা। পরিসংখ্যান বলছে-

২০০৪ সালে নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার রেললাইন মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে পরিবর্তিত হওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে ৫৫টি হাতির।

সেবক-রংপো রেলপথও যাবে ৮৬ হেক্টর বনভূমির মধ্যে দিয়ে। সেই পথে পড়ছে বেশ কয়েকটি এলিফ্যান্ট করিডোরও। তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পরিবেশ কর্মীরা।

.