পরীক্ষা দিতে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হয়নি তার!
পরীক্ষা দিতে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হয়নি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁকে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। তারপর গণধর্ষণ করে খুন। কামদুনির সেই ক্ষত আজও শুকোয়নি। রাজারহাটের ডিরোজিও কলেজে পড়ত মেয়েটি। বিএ সেকেন্ড ইয়ার। বাড়ির সকলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পড়াশোনা তো ও-ই করেছিল। ইচ্ছে ছিল অভাবের সংসারে দুঃখ ঘোচাবে। শুধু নিজের সংসার কেন? পড়শি বাড়ির কথাও তো ভাবত সে। নিজের পড়াশোনার ফাঁকে পড়াত গ্রামের অন্য ছেলেমেয়েদের। না, এজন্য টাকা নেওয়ার কথা সে কোনও দিন ভাবেনি।
ওয়েব ডেস্ক: পরীক্ষা দিতে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হয়নি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁকে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। তারপর গণধর্ষণ করে খুন। কামদুনির সেই ক্ষত আজও শুকোয়নি। রাজারহাটের ডিরোজিও কলেজে পড়ত মেয়েটি। বিএ সেকেন্ড ইয়ার। বাড়ির সকলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পড়াশোনা তো ও-ই করেছিল। ইচ্ছে ছিল অভাবের সংসারে দুঃখ ঘোচাবে। শুধু নিজের সংসার কেন? পড়শি বাড়ির কথাও তো ভাবত সে। নিজের পড়াশোনার ফাঁকে পড়াত গ্রামের অন্য ছেলেমেয়েদের। না, এজন্য টাকা নেওয়ার কথা সে কোনও দিন ভাবেনি।
৭ জুন, ২০১৩
আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টি পড়ছে। কলেজের পরীক্ষা থেকে ফিরে দুপুর আড়াইটে নাগাদ সে নামল কামদুনি বাসস্ট্যান্ডে। রাজারহাট রোডের বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তর দিকে চলে গেছে কামদুনি মধ্যমগ্রাম বিডিও অফিস রোড। দুপাশে ভেড়ি আর ধানজমি। দু কিলোমিটার হেঁটে গেলেই বাড়ি। বাস থেকে নেমে তরুণী যখন হাঁটতে শুরু করলেন তখন জানতেন না সামনেই অপেক্ষা করছে মৃত্যুফাঁদ। রাস্তার ধারে কারখানার জন্য নেওয়া পাঁচিল ঘেরা জমি। পাঁচিলের ওধারে কেয়ারটেকার আনসার আলির ঘর। আনসারের ঘরে তখন চলছিল দুষ্কৃতিদের মদ্যপানের আসর। নির্জন রাস্তায় একা তরুণীকে আসতে দেখে শিকারের গন্ধ পেয়ে যায় তারা। তরুণীকে টেনে-হিঁচড়ে ৮ ফুট উঁচু পাঁচিলের ওপাশে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কেয়ারটেকারের ঘরে নিয়ে গিয়ে শুরু হয় যৌন নির্যাতন। কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অসহায় একা তরুণীর প্রতিরোধের চেষ্টা কোনও কাজে আসেনি। শুধু গণধর্ষণেই শেষ হয়নি নারকীয় অত্যাচার। গলা টিপে, দু-পা দুদিক থেকে চিরে ফেলে খুন করা হয় তাঁকে। কাজ সেরে মৃতদেহ পাঁচিলের বাইরে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা।
কলেজ থেকে মেয়ে না ফেরায় বাড়ির লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ধানজমিতে পড়ে থাকা দিদির ক্ষতবিক্ষত, অর্ধনগ্ন লাশ খুঁজে পান ছোট ভাই। কামদুনিতে তখন গাঢ় রাতের অন্ধকার।