সংখ্যালঘু উন্নয়নে ফের চাপে রাজ্য সরকার, স্কলারশিপ দেওয়াতে রাজ্যের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে
সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে ফের চাপে রাজ্য সরকার। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে বসিয়ে সংখ্যালঘু উন্নয়নের প্রশ্নে প্রশাসনের সমালোচনা করেছিলেন ত্বহা সিদ্দিকি। এবার সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে এল রাজ্যের ব্যর্থতা।
ব্যুরো: সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে ফের চাপে রাজ্য সরকার। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে বসিয়ে সংখ্যালঘু উন্নয়নের প্রশ্নে প্রশাসনের সমালোচনা করেছিলেন ত্বহা সিদ্দিকি। এবার সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে এল রাজ্যের ব্যর্থতা।
গরীব সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনায় উত্সাহ দিতে তাঁদের স্কলারশিপ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। দু ধরনের স্কলারশিপ দেওয়া হয়। প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ এবং মেরিট কাম মীনস স্কলারশিপ।
কাদের দেওয়া হয় এই স্কলারশিপ?
যাঁদের পারিবারিক আয় বছরে এক লক্ষ টাকার কম, এবং সর্বশেষ পরীক্ষায় যাঁরা পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন
এজন্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে অনলাইন আবেদন জানাতে হয়।
যেহেতু গরীব ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই অনলাইন আবেদন জানাতে পারেন না, তাই রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু দফতরই সেই কাজের দায়িত্ব নেয়। এবছর একত্রিশে অগাস্ট অনলাইন আবেদন জানানোর শেষ দিন ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গতবারের তুলনায় অর্ধেক ছাত্রছাত্রীও এই আবেদন জানাতে পারেননি। এরজন্য দায়ী করা হয়েছে কেন্দ্রের ওয়েবসাইটের স্লো সার্ভারকে। দুদিন আগেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে রাজ্যের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।
তবে তাঁর অভিযোগের পাল্টা জবাবও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের আরও সাফাই, বন্যার কারণে কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। যদিও রাজ্যের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাঁদের দাবি বন্যার সঙ্গে সংখ্যালঘু উন্নয়নে কোনও যোগ নেই।