তেহট্ট মহকুমা আদালতে আজব চার্জশিট সিআইডির

পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনার চার্জশিটে পুলিসকেই ছাড়। তেহট্ট মহকুমা আদালতে এমনই আজব চার্জশিট সিআইডির। চার্জশিটে পুলিসের গুলিতে অশোক সেনের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তদন্তকারী অফিসারকে তলব করেছেন বিচারক।

Updated By: Mar 23, 2017, 10:33 PM IST
তেহট্ট মহকুমা আদালতে আজব চার্জশিট সিআইডির

ওয়েব ডেস্ক: পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনার চার্জশিটে পুলিসকেই ছাড়। তেহট্ট মহকুমা আদালতে এমনই আজব চার্জশিট সিআইডির। চার্জশিটে পুলিসের গুলিতে অশোক সেনের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তদন্তকারী অফিসারকে তলব করেছেন বিচারক।

দু হাজার বারোর ১৪ নভেম্বর। জগদ্বাত্রী পুজো ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ার তেহট্টে। অবরোধ-বিক্ষোভ। পুলিসের গাড়িতে আগুন-ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ছাদ থেকে গুলি চালান তেহট্টের তত্‍কালীন এসডিপিও শৈলেশ শাহ। মারা যান অশোক সেন।

পালাবদলের পর প্রথম পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ। তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। তেহট্ট ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। সেই মামলায় সম্প্রতি তেহট্ট মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে CID। আর তাতেই আজব কাণ্ড। পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে খোদ পুলিসকেই।
 

চার্জশিটে বলা হয়েছে- ১৪ নভেম্বর আত্মরক্ষার্থে তেহট্টে গুলি চালায় পুলিস। গুলিবিদ্ধ হয়ে সেদিন মারা যান অশোক সেন। কিন্তু, পুলিসের গুলিতেই যে অশোক সেন মারা গেছেন তার প্রমাণ মেলেনি। চার্জশিটে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে অশোক সেনের ময়না তদন্তের রিপোর্টকে। PM রিপোর্টে বলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে অশোক সেনের মৃত্যু হলেও, তাঁর শরীরে বুলেট মেলেনি। তাই ওই বুলেট পুলিসের বন্দুক থেকে ছোঁড়া হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

তেহট্ট মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। সিআইডির চার্জশিটে মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত তালিকার ১১নম্বরে নাম রয়েছে মৃত অশোক সেনেরও সরকারি আইনজীবীর যুক্তি, পুলিসের গুলিতে অশোক সেনের মৃত্যুর প্রমাণ মেলেনি, তাই বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা যুক্ত করা হোক। কারণ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সশস্ত্র অবস্থায় পুলিসকে আক্রমণ। তাই এদেরই কারোর গুলিতে যে অশোক মারা যাননি তা নিশ্চিত নয়। সব শুনে বিচারক তদন্তকারী অফিসারকে তলব করেছেন। তাঁর কাছে গোটা বিষয়টির ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন- জুটমিল খোলার দাবিতে শ্রমিকদের পথ অবরোধ)

.