নদীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ ছাত্রের দেহ
ওয়েব ডেস্ক: নদীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ ছাত্রের দেহ। পরীক্ষায় টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে বের করে দেন শিক্ষক। অপমানে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। আত্মহত্যা নাকি খুন, ছাত্রের রহস্যমৃত্যু ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দীপঙ্কর দাস। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ হাইস্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্র। নিখোঁজ ছিল দুদিন ধরে। শনিবার চূর্ণি নদীতে ভেসে উঠল তার দেহ।
ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল দীপঙ্করের। বৃহস্পতিবারও গিয়েছিল পরীক্ষা দিতে। টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়ে বলে অভিযোগ। স্কুল থেকে বের করে দেন শিক্ষক। রাগে, অপমানে বাড়ি ফেরেনি দীপঙ্কর। খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি তাকে। শুক্রবার চূর্ণি নদীর ধারে পাওয়া যায় তার সাইকেলটি। নদীতে নামানো হয় ডুবুরি।কিন্তু দীপঙ্করের খোঁজ মেলেনি। শনিবার সকালে ভেসে ওঠে তার দেহ। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে দীপঙ্কর। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। কিন্তু আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ পরিবার। বেদম মারধর করে স্কুলের শিক্ষক তাকে নদীতে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে দীপঙ্করের মৃত্যু নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
দীপঙ্করের নাকে, মুখে, কানে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। সে যদি আত্মহত্যাই করে থাকে, তাহলে আঘাত লাগল কী করে?
তদন্তে এই দিকগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিস।