না পাওয়ার তালিকা দীর্ঘ, সন্তান বিক্রি করেও তাই অবিচলিত সুন্দরপাড়া
অনটন থেকে বাঁচার পথ খুঁজছেন সুন্দরপাড়ার বাসিন্দারা। আধপেটা খেয়েই বেঁচে আছে সুন্দরপাড়া। তাই মায়ের সন্তান বিক্রির খবর শুনে গোটা রাজ্যের মত বিচলিত হয় না রেল পাড়ে গজিয়ে ওঠা জনপদ। কারণ, নেইয়ের তালিকাটা যে অনেকদিন আগেই দীর্ঘ হয়ে গিয়েছে।
অনটন থেকে বাঁচার পথ খুঁজছেন সুন্দরপাড়ার বাসিন্দারা। আধপেটা খেয়েই বেঁচে আছে সুন্দরপাড়া। তাই মায়ের সন্তান বিক্রির খবর শুনে গোটা রাজ্যের মত বিচলিত হয় না রেল পাড়ে গজিয়ে ওঠা জনপদ। কারণ, নেইয়ের তালিকাটা যে অনেকদিন আগেই দীর্ঘ হয়ে গিয়েছে।
বন্ধ চা বাগান। উদ্যোগ নেই। তাই কাজও নেই। কারও ভরসা দৈনিক শ্রমে যত্সামান্য আয়। কারও আবার ভিক্ষাবৃত্তি। কবে যে শেষ দুবেলা পেট পুরে খেয়েছেন, তাও ভুলে গিয়েছেন অনেকেই। এভাবেই বেঁচে আছে জলপাইগুড়ির সুন্দরপাড়া।
অভাবের তাড়নায় তেরো হাজার টাকায় নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন এলাকারই বাসিন্দা গৌরী দাস। এখবরে যখন গোটা রাজ্য হতভম্ব, এখানকার মানুষ কিন্তু তখন আশ্চর্য হন না। তাঁদের মতে, এরকম ঘটনা আগেই ঘটতে পারতো। এখন ঘটেছে। সরকারি সুযোগ সুবিধার ছিঁটে ফোটাও পায়নি সুন্দরপাড়া। রেশন কার্ড নেই। ঘর নেই। বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। নেই একশো দিনের কাজও। এই নেইয়ের তালিকাটা দীর্ঘ। নেইয়ের তালিকা বাড়তে বাড়তে হতাশা ক্রমশই গ্রাস করছে সুন্দরপাড়াকে।