চিকিত্সক নেই: বন্ধ হয়ে গেল হাসপাতালের সার্জারির বহির্বিভাগ
চিকিত্সকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সার্জারির বহির্বিভাগ। নোটিস জারি করে একথা ঘোষণা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুনরায় কবে থেকে তা চালু হবে সেবিষয়েও কোনও সদুত্তর নেই তাঁদের কাছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।
চিকিত্সকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সার্জারির বহির্বিভাগ। নোটিস জারি করে একথা ঘোষণা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুনরায় কবে থেকে তা চালু হবে সেবিষয়েও কোনও সদুত্তর নেই তাঁদের কাছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। কাউকে বলা হয়েছিল পুজোর পর এসে দেখাতে। আবার কাউকে তিন-চার সপ্তাহ আগে ভর্তি হওয়ার ডেট দেওয়া ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়মতো এলেও, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকে প্রতিদিনই এমন বহু রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছিল নিরাশ হয়ে। বিনা চিকিত্সায়। আর এবার একধাপ এগিয়ে সার্জারির বহির্বিভাগটি বন্ধই করে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ, চিকিত্সকের অভাব।
শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি জেলাই নয়, আশেপাশের জেলাগুলি থেকেও প্রচুর মানুষ প্রতিদিন এই হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য আসেন। পাঁচশো পঞ্চাশ শয্যার ব্যবস্থা থাকলেও, ভর্তি থাকেন প্রায় দ্বিগুণ রোগী। সেই তুলনায় চিকিত্সক-নার্সদের অভাবের অভিযোগ বহুদিনের। এব্যাপারে নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপারও। চিকিত্সা পরিষেবা নিয়ে হাজারো অভিযোগের জেরে এমুহুর্তে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। তারওপর এভাবে একটি সরকারি হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা স্বভাবতই সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।