ক্ষেতমজুরদের সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন সূর্যকান্ত
ফসলের ন্যায্য মূল্য, আর ক্ষেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বর্ধমানে জামালপুরে ক্ষেতমজুরদের সভায় তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন কৃষকদের কথা বললেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও কৃষকদের ভুলে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফসলের ন্যায্য মূল্য, আর ক্ষেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বর্ধমানে জামালপুরে ক্ষেতমজুরদের সভায় তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন কৃষকদের কথা বললেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও কৃষকদের ভুলে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিদ্ধার্থ শংকর রায় সরকারের যে অবস্থা হয়েছিল, পাঁচ বছরে সেই অবস্থা হবে তৃণমূলের সরকারের বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
জেলা জেলায় কৃষি সঙ্কটের সবচেয়ে বড় শিকার ক্ষেতমজুররা। বহু জায়গাতেই নিতান্ত কম টাকার বিনিময়ে কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। আর তা নিয়েই আন্দোলনে নামেন বর্ধমানের জামালপুরের ক্ষেতমজুর রাধাকান্ত সোরেন। খুন হন গত ২২ জুলাই। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সিপিআইএম নেতৃত্ব। শুক্রবার রাধাকান্ত সোরেনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী-পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এরপর ক্ষেতমজুরদের নিয়ে সভায় তৃণমূলের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই যদি খুন হতে হয়, তাহলে সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের ভবিষ্যত হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারেরও। কৃষকের দাবি দাওয়া নিয়েও সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। কটাক্ষের সুরে বলেন, শহরে জিনিসের দাম বাড়লে মুখ্যমন্ত্রী বাজারে ছুটে যান। কিন্তু গ্রামের কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না, ক্ষেতমজুর মজুরি পাচ্ছেন না, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ব্যথা নেই সরকারের।
খেতমজুরদের সভা সেরে বর্ধমান শহরে মেডিক্যাল রিপ্রেন্জিটিভদের সভায় যান সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অত্যাচারিতদের ক্ষতিপূরণের কথা বলছেন ঠিকই, কিন্তু অপরাধীদের শাস্তির কথা বলছেন না।