সংবাদমাধ্যমের তত্পরতায় শিকল মুক্ত তাপস
চিকিত্সা করার মতো সামর্থ নেই। তাই বাধ্য হয়েই মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন বাবা মা। গত চারবছর ধরে এভাবেই দিন কাটছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের তিলনা গ্রামের তাপস সিংয়ের। খবর পেয়ে গ্রামে যান স্থানীয় বিডিও। সংবাদ মাধ্যমের তত্পরতায় অবশেষে চিকিত্সা শুরু হয়েছে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের।
চিকিত্সা করার মতো সামর্থ নেই। তাই বাধ্য হয়েই মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন বাবা মা। গত চারবছর ধরে এভাবেই দিন কাটছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের তিলনা গ্রামের তাপস সিংয়ের। খবর পেয়ে গ্রামে যান স্থানীয় বিডিও। সংবাদ মাধ্যমের তত্পরতায় অবশেষে চিকিত্সা শুরু হয়েছে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের।
কড়া রোদ হোক বা তীব্র শীত। বাড়ির উঠানে শিকলে গত চার বছর ধরে বাঁধা ছিলেন তাপস সিং। দারিদ্র সীমার নীচে থাকা সিং পরিবারের সামর্থ্য হয়নি ছেলের চিকিত্সা চালিয়ে যাওয়ার। ফলে অবমানবিক এক জীবন কাটাচ্ছিলেন বছর ২৫-এর ওই যুবক। খবর পেয়েই তিলনা গ্রামে যান কুমারগঞ্জের বিডিও ভাস্কর মজুমদার। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
বছর চারেক আগে হঠাত্ই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক। তাঁর চিকিত্সাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু অর্থাভাবে মাঝপথেই তা বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় শিকলবন্দি জীবন যাপন। অমানিবক এই জীবন থেকে তাপস সিংকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসনের উদ্যোগে ও সংবাদ মাধ্যমের তত্পরতায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে পাঠানো হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। পরিবারের আশা সুস্থ হয়েই এবার ঘরে ফিরবে ছেলে।