তিস্তার চরে মানুষের বিপদের বসতি, বৃষ্টি হলেই ভাসছে ঘর বাড়ি

পলি জমে কমছে তিস্তার গভীরতা।  নদীর চরে বসতি বিপদ বাড়িয়েছে। ফলে প্রতি বছর বর্ষায় ভাসছে তিস্তাপাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বন্যাকবলিত দোমোহনি, চাপাডাঙ্গা পরিদর্শন করে এমনটাই মত ভুবিশেষজ্ঞদের। ভবিষ্যতে বিপদ এড়াতে অবিলম্বে নদী সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা।

Updated By: Sep 4, 2015, 10:29 PM IST
তিস্তার চরে মানুষের বিপদের বসতি, বৃষ্টি হলেই ভাসছে ঘর বাড়ি

ওয়েব ডেস্ক: পলি জমে কমছে তিস্তার গভীরতা।  নদীর চরে বসতি বিপদ বাড়িয়েছে। ফলে প্রতি বছর বর্ষায় ভাসছে তিস্তাপাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বন্যাকবলিত দোমোহনি, চাপাডাঙ্গা পরিদর্শন করে এমনটাই মত ভুবিশেষজ্ঞদের। ভবিষ্যতে বিপদ এড়াতে অবিলম্বে নদী সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা।

টানা বৃষ্টিতে প্রতি বছরই ফুলে ফেঁপে ওঠে তিস্তা। বন্যার জলে ভেসে যায় নদীপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। এবছরও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। বন্যার জলে ভেসেছে তিস্তারের দুপাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কিন্তু কেন প্রতি বছর এই পরিস্থিতি হয়? সেই উত্তর খুঁজতেই বৃহস্পতিবার দোমোহনি, চাপাডাঙ্গার বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন ভূবিশেষজ্ঞদের এক প্রতিনিধি দল। তাঁদের মতে এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।

তিস্তার চরে মানুষের বাস ক্রমশ বাড়ছে। গত কয়েক বছর ধরে সেখানে গড়ে উঠেছে গ্রামের পর গ্রাম। অন্যদিকে তিস্তার উত্‍সসস্থল যেখানে সেই পাহাড়ি এলাকায় লাগাতার গাছ কাটার চলছে, গড়ে উঠছে কংক্রিটের বাড়িঘর। এরফলে নদীর জলে মিশছে পলি। আর সেই কারণেই গভীরতা কমছে তিস্তার। এর ফলেই প্রতি বছর বর্ষায় ফুলে ফেঁপে দুি পাড় ভাসিয়ে দিচ্ছে তিস্তা।

বিশেষজ্ঞদের মতে অবিলম্বে তিস্তার চরে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা উচিত। বাঁধের ওপর যারা আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদেরও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। নদীর ড্রেনেজ সহ একাধিক বিষয়ে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের মতে,তিস্তাকে  ঘিরে  দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, তবে ভবিষ্যতে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

.