মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী আরামবাগ, ভাইকে পনেরো বছর গোয়াল ঘরে আটকে রাখল আপন দাদা
একুশ শতকে দাঁড়িয়েও মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী আরামবাগের গোঘাট। মানসিক অবসাদগ্রস্ত, স্রেফ এই যুক্তিতে টানা পনেরো বছর গোয়াল ঘরে আটক করে রাখা হয়েছে এক যুবককে।
একুশ শতকে দাঁড়িয়েও মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী আরামবাগের গোঘাট। মানসিক অবসাদগ্রস্ত, স্রেফ এই যুক্তিতে টানা পনেরো বছর গোয়াল ঘরে আটক করে রাখা হয়েছে এক যুবককে। অভিযোগ ওই যুবকের দাদার
বিরুদ্ধেই। খবর সংগ্রহে গেলে বাধা দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমকে। কিন্তু কেন এই বর্বরতা?
হুগলির আরামবাগ মহকুমার গোঘাটের উদয়রাজপুর গ্রামের বাসিন্দা দেবু দত্ত। দীর্ঘ পনেরো বছর বাড়ির গোয়াল ঘরে গরু, ছাগলের সঙ্গে কার্যত বন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ খোদ তাঁর দাদা কার্তিক দত্তের বিরুদ্ধে।
কিন্তু কেন নিজের ভাইয়ের সঙ্গে এহেন বর্বরোচিত ব্যবহার? সংবাদমাধ্যমের কাছে তার ব্যাখ্যা দিতে নারাজ কার্তিক দত্ত।
দেবু দত্তের দাবি, দীর্ঘ পনেরোবছর ধরে গোয়াল ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, দেওয়া হয়না দুবেলা দুমঠো খাবারও। বাড়িতে মা আছেন ঠিকই। তবে বড় ছেলের দাপটে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই
অশীতিপর এই বৃদ্ধার। মুখ বুজে সহ্য করছেন ছোট ছেলের প্রতি এই বর্বরোচিত আচরণ।