শিশু মৃত্যু ঠেকাতে স্বাস্থ্য দফতরের নয়া পদক্ষেপ

শিশু মৃত্যু ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি হাসপাতালগুলির জন্য ইতিমধ্যেই বারো দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তাদের হুঁশিয়ারি, নির্দেশিকা না মানা হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে হাই লেভেল টাস্ক ফোর্স।

Updated By: Dec 9, 2011, 07:36 PM IST

শিশু মৃত্যু ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি হাসপাতালগুলির জন্য ইতিমধ্যেই বারো দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তাদের হুঁশিয়ারি, নির্দেশিকা না মানা হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে হাই লেভেল টাস্ক ফোর্স। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে একের পর এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও প্রতিবারই একে স্বাভাবিক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য কর্তারা মুখে মানতে না চাইলেও রাজ্যের শিশু চিকিত্সা পরিকাঠামো যে উদ্বেগজনক আরও একবার তার প্রমান মিলল স্বাস্থ্য দফতরের সাম্প্রতিকতম নির্দেশিকায়।

স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় মিত্রের জারি করা এই নির্দেশিকায় শিশুমৃত্যুর হার কমাতে বারো দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সবকটি সরকারি হাসপাতালকে।
খুব প্রয়োজন ছাড়া এক মেডিক্যাল কলেজ থেকে অন্য মেডিক্যাল কলেজে শিশুদের রেফার করা যাবেনা।  রেফার করা হলে কারন উল্লেখ করতে হবে। রেফারাল নোটে সই থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আরএমও বা সিনিয়র শিশু বিশেষজ্ঞের।
জরুরীবিভাগ বা আউটডোর থেকে ভর্তির নির্দেশ এবং শয্যা পাওয়ার সময়ের পার্থক্য কমাতে হবে। ভর্তির নির্দেশ এবং বেড পাওয়ার সময়, দুটিই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে রোগীর বেড হেড টিকিটে।
এক শয্যায় রাখা যাবে না একাধিক শিশুকে। ৪. বেডের অভাব থাকলেও মাটিতে রেখে কোনও শিশুর চিকিত্সা করা যাবেনা।
ভর্তির পনেরো মিনিটের মধ্যে অসুস্থ শিশুর চিকিত্‍সা শুরু বাধ্যতামূলক। চিকিত্‍সার দায়িত্ব নিতে হবে অভিজ্ঞ শিশু চিকিত্‍সককেই।
শিশুর চিকিত্সা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বেড হেড টিকিটে লিখে রাখা বাধ্যতামূলক।
চিকিত্সাধীন শিশুর বেড হেড টিকিটে নিয়মমাফিক দিনে দুবার যাবতীয় পরীক্ষানিরিক্ষা
সংক্রান্ত তথ্য লিখে রাখতে হবে।
বাড়তি নজর দিতে হবে সঙ্কটজনক শিশুদের চিকিত্সায়। প্রতিদিন তৈরি করতে হবে সঙ্কটজনক শিশুদের তালিকা। ওয়ার্ডে থেকে তালিকা পাঠাতে হবে হাসপাতাল সুপার, অধ্যক্ষ এবং নার্সিং সুপারকে।
প্রতিদিন সকালে বাধ্যমূলকভাবে শিশু বিভাগে রাউন্ডে যেতে হবে হাসপাতাল সুপার, অধ্যক্ষ এবং নার্সিং সুপারকে।
হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা রাখতে হবে অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ।  শিশু বিভাগের চিকিত্‍সকদের কল-বুক নিয়মিত পরীক্ষা করবেন হাসপাতাল সুপার।
 হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া প্রতিটি শিশুর যাবতীয় তথ্য প্রতিদিন জানাতে হবে স্বাস্থ্য দফতরের হাই লেভেল টাস্ক ফোর্সকে।  পরিষেবা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানাতে পারবে রোগীর পরিবার।  

ছুটি হওয়ার সময় হাসপাতাল থেকেই মিলবে বাংলায় লেখা এই অভিযোগের ফর্ম। পূরণ করে হাসপাতালের ড্রপ-বক্সে এই ফর্ম জমা দিতে হবে অভিভাবকদের। নির্দেশ না মানা হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন থেকে ইতিমধ্যেই সরকারি হাসপাতালগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকা। ২৪ ঘন্টার জন্য সন্দীপ সরকারের রিপোর্ট কলকাতা।

.