আপ হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেসে লুঠপাট সেরে চেন টেনে পালাল ডাকাত দল

ফের চলন্ত ট্রেনে ডাকাতির ঘটনা। শনিবার আপ হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস রানিগঞ্জ স্টেশন ছাড়াতেই যাত্রীদের ওপরে চড়াও হয় প্রায় ২০ জনের এক দুষ্কৃতীদল। শুরু হয় লুঠপাট। বাধা দিলে চলে মারধর। আধঘণ্টা ধরে লুঠপাট চালানোর পর চেন টেনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন যাত্রী। যাত্রী সেজেই ট্রেনে উঠেছিল দুষ্কৃতীরা।

Updated By: Jan 19, 2014, 12:20 PM IST

ফের চলন্ত ট্রেনে ডাকাতির ঘটনা। শনিবার আপ হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস রানিগঞ্জ স্টেশন ছাড়াতেই যাত্রীদের ওপরে চড়াও হয় প্রায় ২০ জনের এক দুষ্কৃতীদল। শুরু হয় লুঠপাট। বাধা দিলে চলে মারধর। আধঘণ্টা ধরে লুঠপাট চালানোর পর চেন টেনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন যাত্রী। যাত্রী সেজেই ট্রেনে উঠেছিল দুষ্কৃতীরা।

তখন সবে সন্ধে। ঘড়ির কাঁটা সদ্য সাতটা ছাড়িয়েছে। অমৃতসরগামী আপ হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস রানিগঞ্জ স্টেশন থেকে ছাড়া মাত্রই সাধারণ কামরার যাত্রীদের ওপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে শুরু হয় লুঠপাট। কয়েকজন যাত্রী বাধা দিতে গেলে চলে বেধড়ক মারধর। প্রায় আধঘণ্টা ধরে লুঠপাট চালানোর পর চেন টেনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতরা। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় কুড়ি জনেরও বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। আক্রান্ত যাত্রীদের অধিকাংশই বক্সারের বাসিন্দা। পানাগড়ের কাছে ইলমবাজারে পশু কেনাবেচার কাজ করেন তাঁরা।

ট্রেন আসানসোলে পৌছনোর পর জিআরপির কাছে অভিযোগ জানান যাত্রীরা। দুষ্কৃতীদের মারে আহত হন সাতজন যাত্রী। তাঁদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনে নিরাপত্তারক্ষী থাকার কথা থাকলেও অমৃতসর এক্সপ্রেসের ওই জেনারেল কামরায় কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না বলেই অভিযোগ যাত্রীদের। এনিয়ে আসানসোল স্টেশনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। আগেও বেশ কয়েকবার চলন্ত ট্রেনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটেছে শ্লীলতাহানির মত ঘটনাও। প্রতিবারই নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রেলে যাত্রী নিরাপত্তায় গলদ যে রয়েই গেছে অমৃতসর এক্সপ্রেসের এই ঘটনা তা আবারও প্রমাণ করে দিল।

.