দ্রুত বাস্তবায়িত হবে তিস্তা চুক্তি
যত দ্রুত সম্ভব তিস্তা জলবন্টন চুক্তি হবে। বৃহস্পতিবার মালদ্বীপে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই আশ্বাসই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়।
যত দ্রুত সম্ভব তিস্তা জলবন্টন চুক্তি হবে। বৃহস্পতিবার মালদ্বীপে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই আশ্বাসই দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এই বৈঠকেই তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনাকে আশ্বস্ত করে মনমোহন সিং বলেন, তিস্তা চুক্তি রূপায়ণের ব্যাপারে ভারতও আগ্রহী। এই চুক্তি যাতে দ্রুত সম্পাদিত হয় তার জন্য কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময় তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। খসড়া এবং মূলচুক্তির বয়ানে পার্থক্যের বিষয়েই তাঁর মূল আপত্তি ছিল। এবং চুক্তির বিষয়টি তাঁকে জানানোও হয়নি। ভারত গজলডোবা থেকে তিস্তার পঞ্চাশ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে তখন রাজি ছিল।কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অত জল ছাড়া হলে তাতে রাজ্যের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে। এই পরিস্থিতিতে দু'দেশের মধ্যে ট্রানজিটের সম্মতিপত্র বিনিময়ের বিষয়টিও স্থগিত করে দেয় বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে আপত্তি জানালেও দিল্লি যে এ ব্যাপারে বরাবরই আগ্রহী তা নানা ভাবে ঢাকাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার মালদ্বীপে সার্ক সম্মেলনের অবকাশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তির ব্যাপারে শেখ হাসিনাকে আশ্বস করেন মনমোহন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রায় আধ ঘণ্টার ওই বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী তিস্তা জলবণ্টন ছাড়াও যোগাযোগ, সীমানা নির্ধারণ, বাণিজ্য, ঋণ, বিদ্যুত্ সরবরাহে সহয়োগিতার মতো একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছেন।