নাজেহাল শিল্পপতিরা
একদিকে চাঁদার জুলুম। অন্যদিকে, শ্রমিক বিক্ষোভ। দুর্গাপুর শিল্পনগরীতে একের পর এক ঘটনায় রীতিমতো জেরবার শিল্পপতিদের একাংশ। অধিকাংশ ঘটনার ক্ষেত্রেই শিল্পমহলের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। নাজেহাল শিল্পপতিরা জানিয়ে দিয়েছেন এভাবে চলতে থাকলে শিল্প গুটিয়ে চলে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা থাকবে না। গত দোসরা নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তাঁর দলের নেতা কর্মীদের আচরণ বিধি তৈরি করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একদিকে চাঁদার জুলুম। অন্যদিকে, শ্রমিক বিক্ষোভ। দুর্গাপুর শিল্পনগরীতে একের পর এক ঘটনায় রীতিমতো জেরবার শিল্পপতিদের একাংশ। অধিকাংশ ঘটনার ক্ষেত্রেই শিল্পমহলের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। নাজেহাল শিল্পপতিরা জানিয়ে দিয়েছেন এভাবে চলতে থাকলে শিল্প গুটিয়ে চলে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা থাকবে না। গত দোসরা নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তাঁর দলের নেতা কর্মীদের আচরণ বিধি তৈরি করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, কোথায় কী? তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের কর্মী দলনেত্রীর তৈরি করা আচরণবিধি কতটা মেনে চলছেন, তার প্রমাণ মিলল দুর্গাপুরে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে দশ হাজার টাকার একটি বিল কেটে দিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল সমর্থিত একটি ক্লাবের সদস্যরা। তারপরের ঘটনা, সরাসরি শুনে নেওয়া যাক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কর্তা এবং বাড়ির মালিকের মুখ থেকেই। এরপর স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বাড়ির মালিক। কিন্তু, আটকে যায় বিধায়কের পি.এ.-র কাছেই। এরপর আর এগনোর সাহস দেখায়নি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ তো গেল চাঁদার জুলুম। তৃণমূলের ব্যানার নিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনে জেরবার কারখানার মালিক সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়েছেন। তাঁর দাবি, এভাবে কারখানা চালানো সম্ভব নয়। কারখানার মালিক ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে নালিশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু, তাতেও কি কাটবে এই জট? বন্ধ হবে চাঁদার জুলুম? উত্তর অজানা।