গ্রেনেড উদ্ধারে কেন ব্যবহার শিশু? জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাইল রাজ্য
কেন বর্ধমানের বাদশাহি রোডের জঙ্গি ডেরা থেকে গ্রেনেড উদ্ধারে ব্যবহার করা হল এক শিশুকে? বিষয়টি নিয়ে এবার জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের হস্তক্ষেপ চাইল রাজ্য কমিশন।
গত ১৬ অক্টোবর বর্ধমানের বাদশাহি রোডের জঙ্গি ডেরায় তল্লাসি চালিয়ে প্রচুর গ্রেনেড উদ্ধার করে এনএসজি ও এনআইএ। বাড়ির বাথরুমের ওপরেই সন্ধান মেলে লুকনো বাঙ্কারের। অভিযোগ সেখানেই প্রথমে স্থানীয় এক শিশুকে তুলে দেন গোয়েন্দারা। সেই শিশুই জানায় বিস্ফোরকের কথা। এই তথ্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। রিপোর্ট চাওয়া হয় বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কাছে।
রাষ্ট্র সঙ্ঘের শিশু অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত বিধি বলছে,
শিশুদের মানসিক, শারীরিক নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটে এমন কাজ তাদের দিয়ে করানো যাবে না।
শিশুদের সম্মানহানিকর কোনও কাজে তাদের ব্যবহার করা যাবে না।
কোনও শিশুকে দিয়ে কাজ করাতে অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন।
তাহলে প্রশিক্ষিত বাহিনী থাকতেও কেন বিস্ফোরক উদ্ধারে এক শিশুকে ব্যবহার করা হল? কাঠগড়ায় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার কাছ থেকে জবাবদিহি চাইতে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য কমিশন।