৪ বছর পর পাচার হওয়া বীণার খোঁজ মিলল দিল্লিতে, পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পরিবারের
কাজের টোপে চার বছর আগে পাচার হয়ে যায় এগারো বছরের বীণা। পরিবারের অভিযোগ, চার বছর ধরে কোনও অভিযোগই নেয়নি সন্দেশখালি থানা। সম্প্রতি দিল্লিতে হঠাত্-ই সেই মেয়ের খবর মেলে। ফের সাহায্য চাওয়া হয় সন্দেশখালি থানায়। কিন্তু মেয়ের বদলে অন্য মেয়ে, অথবা টাকা নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পরামর্শ দেয় পুলিস। এমনই অভিযোগ পরিবারের।
ব্যুরো: কাজের টোপে চার বছর আগে পাচার হয়ে যায় এগারো বছরের বীণা। পরিবারের অভিযোগ, চার বছর ধরে কোনও অভিযোগই নেয়নি সন্দেশখালি থানা। সম্প্রতি দিল্লিতে হঠাত্-ই সেই মেয়ের খবর মেলে। ফের সাহায্য চাওয়া হয় সন্দেশখালি থানায়। কিন্তু মেয়ের বদলে অন্য মেয়ে, অথবা টাকা নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পরামর্শ দেয় পুলিস। এমনই অভিযোগ পরিবারের।
সচ্ছ্বলতার স্বপ্ন। আর তার জেরেই জীবনভর নরক যন্ত্রণা। কাজের টোপে ফাঁদে পা দিয়ে দুই চব্বিশ পরগনায় পাচার হয়ে যাচ্ছে একের পর এক কিশোরী-তরুণী।
হারিয়ে গেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার দুর্গামণ্ডপ গ্রামের বীণা প্রামাণিকও। দুহাজার এগারোয় কাজ দেওয়ার নাম করে পাচার করে দেওয়া হয় এগারো বছরের বীণাকে।
চারবছর কেটে গেছে। কিন্তু বাড়ির ছোট মেয়ের কোনও খোঁজ পায়নি তাঁর পরিবার। পাশে পাননি পুলিস প্রশাসনকেও।
বহুবার সন্দেশখালি থানায় গেছেন বীণার বাড়ির লোক। কিন্তু প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।
উল্টে তাদের থানায় যাওয়ার খবর পৌছে যাচ্ছে পাচারকারীদের কাছে। তারপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে হুমকি।
মেয়ের হদিশ পেয়ে একাই দিল্লি যান বীণার বাবা রামপ্রসাদ প্রামাণিক।
দিল্লি থেকে ফিরে ফের সন্দেশখালি থানায় যান রামপ্রসাদ বাবু। এবার পুলিস কী বলল?
প্রকাশ্যেই গ্রামে ঘুরে বেরাচ্ছে অভিযুক্তরা। তাদেরই একজন, আশু অধিকারীকে পেয়ে গিয়েছিলাম আমরা।
অভিযোগ, এই এজেন্সির আড়ালেই চলে পাচারের চক্র।
কখনও টাকার টোপ, কখনও বিয়ের প্রতিশ্রুতি পাচার হচ্ছে বীণারা।