ভবানীপুর থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জল্পনার অবসান। বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে। শনিবার দলের কর্মিসভায় তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করে দেন,  এবার ভোটে তাঁর মূল টার্গেট বাম-কংগ্রেস জোটই।

Updated By: Feb 27, 2016, 08:59 PM IST
 ভবানীপুর থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ওয়েব ডেস্ক: জল্পনার অবসান। বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে। শনিবার দলের কর্মিসভায় তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করে দেন,  এবার ভোটে তাঁর মূল টার্গেট বাম-কংগ্রেস জোটই।

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র

বিধায়ক-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুক। বরাবরই বিধানসভা নির্বাচনে আলাদাভাবে নজরে থাকে ভবানীপুর কেন্দ্র।

লোকসভা নির্বাচন ২০১৪। গত লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে ১৫০-র বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। যদিও পুরসভা নির্বাচনে দুটি ওয়ার্ড ছাড়া এই পিছিয়ে থাকাটা সামলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু প্রশ্ন ছিল, দলনেত্রী কি দাঁড়াবেন এই কেন্দ্র থেকে? তৃণমূলকর্মীদের একান্ত ইচ্ছে ছিল এই কেন্দ্র থেকে দলনেত্রীই প্রার্থী হন। শনিবার ভবানীপুর কেন্দ্রের কর্মিসভায় সেই ইচ্ছের কথা তুলে ধরেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি।

শেষ পর্যন্ত ওই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন মমতা।  নিজের কেন্দ্রের ঘর শনিবারই গুছিয়ে নিলেন তিনি। দলের কোন নেতা কোন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন তাও ভাগ করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। ৭৪, ৭৭, ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকছেন ফিরহাদ হাকিম। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডেও জোর দিয়েছেন মমতা। দায়িত্বে সুব্রত বক্সি। একই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের প্রতি নেত্রীর  নির্দেশ, তৃণমূলনেত্রীর বার্তা, মাথা গরম করা যাবে না। পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া লাগানোর চেষ্টা করলেও, তাঁর কর্মীরা অসহিষ্ণুতার উত্তর দেবেন সহিষ্ণুতার সঙ্গে।

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। পজিটিভ থিঙ্কিং বজায় রেখে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না যাতে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়। বড় বড় কাটআউট  দেওয়া যাবে না। দেওয়াল লিখন নিয়ে কর্মীরা যেন ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়বেন না। কর্মিসভায় মমতার নিশানায় ছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কর্মীদের তিনি বলেন,  ২০১১ সালের থেকেও তৃণমূল কংগ্রেস এবার ভাল ফল করবে। ওই সময় কংগ্রেসের সঙ্গে সিট অ্যাডজাস্টমেন্ট ছিল। ওরা ঘাড়ের ওপর ছিল। পৌনে পাঁচ বছর ধরে ওরা সিপিএমের সঙ্গেই কাজ করেছে। এই ঐতিহাসিক সত্য আমরা মানুষের সামনে এনেছি।

.