কেনিয়ার অ্যাথলিটের অলিম্পিক সোনা ৪০ বছর পর গ্রামে আলো জ্বালালো

অলিম্পিকে সোনা জেতা মানে দেশকে গৌরব এনে দেওয়া, সম্মান এনে দেওয়া, আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিত এনে দেওয়া। এসব তো খুব কমন কথা।

Updated By: Sep 1, 2016, 06:48 PM IST
কেনিয়ার অ্যাথলিটের অলিম্পিক সোনা ৪০ বছর পর গ্রামে আলো জ্বালালো

পার্থ প্রতিম চন্দ্র: অলিম্পিকে সোনা জেতা মানে দেশকে গৌরব এনে দেওয়া, সম্মান এনে দেওয়া, আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিত এনে দেওয়া। এসব তো খুব কমন কথা। কিন্তু কেনিয়ার মহিলা অ্যাথলিট ফেইথ কিপিয়েগন সোনা জিতে তাঁর জন্মস্থানকে এনে দিলেন আলো। হ্যাঁ, সত্যিকারের আলো। যাতে ৪০ বছর পর আবার কিপিয়েগেনের গ্রামে এল ইলেকট্রিক কানেকশন। জ্বলল আলো, চলল টিভি।

রিও অলিম্পিকে ১৫০০ মিটার দৌড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দিবাবাকে হারিয়ে সোনা জেতেন কিপিয়েগন। কিপিয়েগন হলেন কেনিয়ার নাকুরু কাউন্টির নাদাবিবিট গ্রামের মেয়ে। কিপিয়েগন ছোট থেকেই কোনওদিন ইলেকট্রিক কী জিনিস জানে না। গ্রামে বিদ্যুত‍্ কানেকশনের জন্য অনেক চেষ্টা করেন ওর বাবা। কিপিয়েগন আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্যের পরেও খোদ রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা পর্যন্ত জানান। কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি। বিদ্যুত্‍ না থাকায় গ্রামের প্রিয় মেয়ে কিপিয়েগনের খেলা দেখতে পারেনি গ্রামবাসীরা। কিপিয়েগেনের সোনার পর সব বদলে গেল।

আরও পড়ুন- সিনেমায় নামছেন এই ক্রিকেটার

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে গ্রামে বসানো হল ট্রান্সফর্মার। সোনা জয়ের ৯দিনের মাথায় কিপিয়েগেনের গ্রামে রাতে আলোতে ঝলমল করে উঠল। সত্যি একটা সোনার আলো যে এত উজ্জ্বল হতে পারে সেটা কিপিয়েগেনের গ্রামে গিয়ে দেখতে হয়। তবে কী ওর গ্রামে যাওয়াটা খুব কষ্টের। কারণ কেনিয়ার রাজধানী নাইরো‍বি থেকে অন্তত ৯টা গাড়ি বদল করে নদী পেরিয়ে যেতে হয় ওখানে! বুঝুন ঠ্যালা।

.