রিও-র হল সারা, টোকিও-র হল শুরু
স্বরূপ দত্ত
দেখতে দেখতে শেষ রিও অলিম্পিক। কিন্তু বিষয়টা যখন অলিম্পিক, তখন আর সমাপ্ত বলে কিছু হয় না। প্রাচীন অলিম্পিক। আধুনিক অলিম্পিক। রিও অলিম্পিক। বেজিং অলিম্পিক। সামনের শব্দগুলো শুধু পাল্টে যায়। কিন্তু অলিম্পিক থেকে যায় একইরকম। চিরকালীন। বিশ্বের সবথেকে বড় বিনোদনের আসর। রিও-র পাঠ শেষ। এবার সেজে উঠছে টোকিও। আগামী ২০২০ সালের অলিম্পিক যে জাপানের এই শহরেই হবে। আরও বড় কথা, টোকিওই তো এই বিশ্বের সবথেকে বড় শহর। তাই সেখানে যখন বসছে অলিম্পিকের আসর, তাহলে বুঝতেই পারছেন-হতে চলেছে সামথিং স্পেশাল। এটা তৃতীয় বিশ্বের দেশ ব্রাজিলের শহর রিও নয় যে, অলিম্পিক শুরুর এক সপ্তাহ আগেও কাজ চলবে। এটা টোকিও, যেখানে একদম আজকের দিন থেকেই আয়োজন হতে পারে গোটা অলিম্পিক। তাই আজ থেকে চার বছর পর সেরা হতে চলা টোকিও অলিম্পিককে আপনিও বা কেন জানবেন, চার বছর পর? জেনে নিন এখনই। শুরু করা যাক।
১) ২০২০ অলিম্পিক আয়োজন করার দায়িত্ব পেতে টোকিওর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লড়াই ছিল স্পেনের মাদ্রিদ এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলের। শেষ পর্যন্ত ইস্তাম্বুলকে টেক্কা দিয়ে অলিম্পিক আয়োজনের দায়িত্ব পায় বিশ্বের সবথেকে বড় শহর। সুখবরটা এসেছিল, ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। দেখে নিন টোকিও অলিম্পিকের লোগোও। যেটা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।
২) টোকিও অলিম্পিকের জন্য জাপান সরকার বাজেট ধরে রেখেছে আনুমানিক ৩ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার। হানেদা এবং নারিতা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। যাতে একসঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক বিমান ওঠানামা করতে পারে। টোকিও রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত একটি নতুন রেললাইন পাতার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে টোকিও রেলওয়ে স্টেশন থেকে হানেদা বিমান বন্দর যেতে সময় লাগবে মাত্র ১৮ মিনিট। যে রাস্তা যেতে পুরনো রুট অনুযায়ী সময় লাগত ৩০ মিনিট। এটা জাপান। ১২ মিনিটের দাম এখানে এক যুগই ধরা হয়। দেখে নিন হানেদা বিমান বন্দরের ছবিও।
৩) টোকিও অলিম্পিকের মূল স্টেডিয়াম হল ন্যাশনাল অলিম্পিক স্টেডিয়াম। সেখানেই বসবে ২০১৯-এর রাগবি বিশ্বকাপেরও আসর। সেইজন্য মূল স্টেডিয়ামকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক অনুদানও জাপান সরকার করেছে স্টেডিয়ামকে অত্যাধুনিক করার জন্য। দেখে নিন টোকিওর ন্যাশনাল অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ছবি।
৪) হিসেব করে দেখা যাচ্ছে টোকিও অলিম্পিকের মূল ভেন্যু থেকে কোনও ভেন্যুরই দূরত্ব ৫ মাইলের বেশি নয়। এর ফলে বিশ্বজোড়া অ্যাথলিটদের যাতায়াতের কোনও কষ্ট হবে না, তাঁদের ইভেন্টের নির্দিষ্ট ভেন্যুতে যেতে। ওয়াকাসুতেই হবে সেলিংয়ের মতো ইভেন্টগুলো। দেখে নিন তারও ছবি। সত্যিই ছবির মতো সুন্দর।
৫) টোকিও অলিম্পিক শুরু হবে ২০২০ সালের ২৪ জুলাই। চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। মোট ৩৩ টি খেলার ৩২৪ টি ইভেন্ট হবে এই মেগা ইভেন্টে। এর আগে ১৯৬৪ সালেও একবার অলিম্পিক আয়োজন করেছিল এই শহর। আর ২০২০-র পর তারা হবে পঞ্চম শহর, যারা একবারের বেশি অলিম্পিক আয়োজন করার দায়িত্ব পেয়েছে। জাপানিরা তো গর্বিত হবেনই। কারণ, গোটা এশিয়া মহাদেশে তাঁরা ছাড়া এমন কাজ করার সুযোগ আর কেউ যে কখনও পায়নি!এক ছবিতে দেখে নিন রাতের টোকিও শহর।
আরও পড়ুন অলিম্পিকের জন্যই আজ চোখের কোণে জল চিকচিক