জল মানে জীবন হলে সলিলের আবার মৃত্যু হয় নাকি!

Updated By: Sep 5, 2016, 02:18 PM IST
জল মানে জীবন হলে সলিলের আবার মৃত্যু হয় নাকি!

স্বরূপ দত্ত

আজ ৫ সেপ্টেম্বর।খাতায় কলমে 'মৃত্যুদিন সলিল চৌধুরির'! জল মানে যদি জীবন হয়, তাহলে সলিলের মৃত্যু হবে কোন যুক্তিতে! সলিল আছেন..থাকবেন..চিরকাল..যখন এই পৃথিবীতে কিচ্ছু থাকবে না, তখনও হয়তো এলিয়েনরা এসে সলিলের সুর শুনে জানবে, এই পৃথিবীর সঙ্গীত-সংস্কৃতি ঠিক কেমন ছিল। আজ তাই বিশেষ দিনে শুনে নিন সলিলের কিছু দুর্দান্ত গান। সব বাংলা গানই পোস্ট করলাম। কিন্তু সলিল যে সব ভাষায় দেখিয়েছেন তাঁর জাদু। তবু আজকের দিনটায় তাঁকে বাংলাতেই স্মরণ করলাম।আর পড়ুন লেখাটা। রোমাঞ্চিত হন শিক্ষক দিবসে সেরা শিক্ষকরে গানে।

 

বাংলায় গান ছিল কী ছবিতে? আমি, তুমি আর আমাদের প্রেম। এর বাইরেও যে গান হতে পারে, মনেই হতো না শুনে। সলিল চৌধুরি যে অন্যরকম। বোঝালেন, আমি, তুমির বাইরেও আমাদের এ পৃথিবীতে কোনও কোনও মানুষ আছেন। তাঁরাও বেঁচে রয়েছেন। কারও কষ্টকে তুলে আনাও গান হতে পারে। আমার কষ্ট, কষ্ট, আর বাকি পৃথিবী, ‘যাক যা গেছে তা যাক’ নয় শুধু। তাই সুকান্তর রানার সত্যিই পথ চলা শুরু করল। সুকান্ত ভাল লিখতেন নতুন করে বলার নেই। কিন্তু এ কথা বোঝানোর জন্য কোনও যুক্তিও দরকার নেই যে, কোনও লেখা সুর পেলে, তা মানুষকে আরও ভাল লাগায়। মানুষের স্মরণে আরও বেশি থাকে। রানার পথ আগেও চলত। কিন্তু সলিলের সুরে রানারের দৌড় হয়ে উঠেছে চিরকালীন। এটা উপলব্ধির।গাঁয়ের বধুর কথা কেউ যে আগে কখনও শোনাননি ওভাবে। চিরকালীন হেমন্তর স্বরে যখন গাঁয়ের বধূর বারোমাস্যা, বাঙালি গুনগুন করে গেয়ে উঠল, কে জানে মন বলে, ওই বধূর জীবন সার্থক হল। তার জন্য সলিলকে বলব না? শুধু গানের মাধ্যেমই বদলে দিয়েছিলেন সমাজটাকে!

এই রোকো পৃথিবীর গাড়িটা থামাও/ আমি নেবে যাব/এ গাড়ি যাবে না, আমি অনেক দূর যাব...এটা নিছক গানের লাইন ছিল না কখনও। আজও নেই। এটা শুধুই অনুভবের। মানুষটা এই গানটি নিজে লিখেছিলেন মরে যাওয়ার ৫ দিন আগে! (বিশ্বাস করি না, সলিল কখনও মরে)/(সবিতা চৌধুরি এমন তথ্যই দেন)।
একটা মানুষ বুঝতে পারছেন, এই বোধহয়, সময় হয়ে গেল, নাটকটা শেষ হওয়ার। অনেক ভালোলাগার সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হবে। এতদিনের সব অভ্যাসকে বিদায় জানাতে হবে। যেখানে চলে যাবেন, জানেনও না, এসরাজ বা হারমোনিয়ামটা সঙ্গে পাবেন কিনা! বড্ড কষ্ট পেয়ে কথাগুলো লিখেছিলেন বোধহয়। বাঁধন ছেড়ে মুক্ত হওয়ার মানসিক জোরটা একবার ভাবুন। লিখলেন। সুর করলেন। সেটা গাইলেন। আর দিব্যি সবাইকে ছেড়ে চলে গেলন।বলার চেষ্টা করছি সেটাই, মানুষটা নিজে কীভাবে অনুভব করতেন, সেটাই ভাবুন। বুঝলেন, চলে যাবেন। যাওয়ার বেলায় ট্রেন থামিয়ে অন্য ট্রেন ধরে চলে গেলেন মাত্র ৫ দিনেই! অনন্য তো বটেই। তাঁকে সেরা বলব না!

এই ভারতের সেরা সুরকার কে? এককথায় এ উত্তর দেওয়া যাবে না। তবু, কখনও কখনও কাউকে দিতে হয় বইকি! আপনার যে কোনও নাম মনে হতে পারে। কিন্তু সেরা ইলাইয়া রাজা, দুটো যুক্তির বিচারে। এক, লোকটা চার-চারটে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন শুধু ছবিতে সুর করে! দুই, যেটা অকাট্য যুক্তি। ইলাইয়া রাজা ১০০০-এরও বেশি ছবিতে সুর করেছেন!(হ্যাঁ, এক হাজারেরও বেশি)একটা গানে সুর করতে কত দিন লেগে যায় মানুষের। আর ইলাইয়া রাজা নাকি এক হাজারের বেশি ছবিতে সুর করেছেন! এবং, এখনও করছেন। তাঁর পিডলি সি বাতে, শুনে রাতে ফ্লোরে নাচছে আজকের ১৭-১৮! সেরা না বলে উপায় আছে? কিন্তু সেরা হিসেবে লিখতে বসেছি তো সলিলকে নিয়ে। তাহলে কীভাবে প্রমাণ করব, ইলাইয়া রাজা নন, সলিল চৌধুরিই সেরা। খুব সহজ। সলিলের যে মিউজিক্যাল ট্রুপ ছিল, তাতে গিটারিষ্ট ছিলেন ইলাইয়া রাজা। বলতেন, ‘সলিলদাই দেশের সবথেকে বড় সুরকার’! কী বলবেন এবার? সলিল চৌধুরি সত্যিই এত বড়। এতে না আছে কোনও বিষ্ময়বোধক চিহ্ন, না আছে সত্যি না মিথ্যে জিজ্ঞাসা করা।

লতা মঙ্গেশকরের এখন বয়স হয়েছে। মানুষটার গলা কোকিলের মতো। কিন্তু তাঁরও যে বয়স হলে হাঁটতে কষ্ট হয়। তিনি আর নিজের ওই দু’ পায়ে হাঁটতে পারেন না ভাল করে। চাকা লাগানো চেয়ারটাই এগিয়ে দেয়। সেই তিনিও নাকি ২০১৪-র পুজোতে কলকাতায় এলেন সলিল চৌধুরির করে যাওয়া সুরে গান গাইতে! কেন আসবেন না, তিনি! এই বাংলায় লতা মঙ্গেশকরের জনপ্রিয়তা যে সলিলের থালায় করে সাজিয়ে দেওয়া। পা মা গা রে সা, ও গো আর কিছুই তো নাই, নিশিদিন নিশিদিন, মন লাগে না, ও আমার ময়না গো, সলিল চৌধুরি, লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে না গাইয়ে আরতি মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে গাওয়ালেও, গানগুলো চিরকালীনই হত, যেমনটা আজও হয়ে রয়েছে লতা মঙ্গেশকরের গলায়।সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই বোধহয় সুরসাম্রাজ্ঞী আজও ভোলেননি তাঁর প্রিয় সলিলদাকে। সুর সাম্রাজ্ঞী, সলিল চৌধুরির মৃত্যুর এত বছর পরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে তাঁরই সুর করা গান গাইতে আসছেন। কী বলবেন, সলিল চৌধুরি সেরা নন?

ছয়ের দশকের শেষের দিক, সাতের দশক পুরো, আটের দশক পুরো এবং নয়ের দশকের অর্ধেকটা। ভারত দুলেছে, তাঁর সুরে। এই বিষয়েও কোনও প্রশ্ন নেই, তর্ক নেই। এতটাই দাপট রাহুল দেব বর্মনের। হবেন নাই বা কেন! শচীন দেব বর্মনের ছেলে, এটুকু রাজত্ব করবেন না! রাহুলের এই সাফল্য তাই স্বাভাবিক।যদিও রাহুল দেব বর্মন যখন বেড়ে উঠছেন, তখন শচীন কর্তাও বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। বলতে পারেন, খানিকটা অহংয়েও লাগছিল তাঁর। ছেলে রাহুল যে, তাঁকে নয়, বেড়ে ওঠার দিনগুলোতে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সলিল চৌধুরিকে! ছেলে আমার থেকেও সলিলকে বেশি ভালবাসছে, তাঁর মতো হতে চাইছে, শচীন কর্তা অনেক বড় মানুষ। তবু, তাঁরও তো একটু অহংয়ে লাগবেই। শচীন দেব বর্মন বলতেনও সেই কথা। ‘আহা রে, ছেলেটা আমার যে, সলিল হতে চায়!’ সলিল চৌধুরি কেন সেরা, সেটা বলার জন্য এই লাইনটাই কি যথেষ্ঠ নয়?

সুকান্ত ভট্টাচার্য, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় আর সলিল চৌধুরি, বাংলার গানের এই ত্রিভুজ আক্রমণ যদি কোনওদিন বাংলার ফুটবলেও থাকতো! সুকান্তর হাত থেকে দুর্দান্ত সব লেখা বেড়িয়েছে। সলিল তাতে আরও ভালো সুর দিয়েছেন আর হেমন্ত তাতে কণ্ঠ দিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। গানগুলো হয়ে উঠেছে চিরকালীন জীবন্ত।অবাক পৃথিবী, রানার, গাঁয়ের বধূ, একে একে সৃষ্টি হয়ে গেল। কিন্তু হেমন্ত মুখোপাধ্যায় যে আর শুধুই এই নামেই বেঁচে থাকতে, বাংলার সীমারেখাতেই নিজেকে বেঁধে রাখতে চাননি। তাই পাড়ি দিলেন তত্কামলীন বম্বেতে। এবং হয়ে উঠলেন বাঙালির তথা দেশের গর্বের হেমন্ত কুমার। সত্যিই তো, হেমন্ত কুমার, আ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা অথবা, তুম পুকার লো কিংবা, বেকারার করকে হামে ইউনা জাইয়ে, না গাইলে দেশের যবুসমাজ গুন গুন করতটা কী! বম্বে গিয়েছিলেন সলিলও। সেখানে তিনিও একের পর এক হিট দিয়েছেন। তাঁর শুধু মধুমতীর-মধুই শেষ হওয়ার নয় কখনও। কিন্তু হেমন্ত অনেক মার্জিত। সলিল যে মনের ক্ষ্যাপা। তাই চলে এলেন বাংলায়। তাও কলকাতাতেও নয়, থাকতেন গিয়ে জেলায় জেলায়। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কখনও কখনও তাঁকে ডাকতেন এই বলে, ‘সলিল, বম্বেতে সবাই তোমার খোঁজ করছে, একবার এসো।’ বড়ে গুলাম আলিও ডেকে পাঠিয়েছেন, আলাপ করার জন্য! এই হল সলিল, নিজে যান না। অত মানুষের ভিড়ে মিশে যেতে পারতেন না। কিন্তু অনেক দূরের মানুষেরাও তাঁকে কখনও ভুলতে পারেনি। আমরা একটু বেশিই মনে রাখব না তাই সলিল চৌধুরিকে? বিনীত প্রশ্ন।

বাংলায় থাকতেন বেশি। নিজেকে গ্লোবালাইজেশনের ভিড়ে হারিয়ে দিতে পারেননি। তবু, কখনও মনের আনন্দে বেড়িয়েছেন এদিক ওদিক। তাতেই সাম্রাজ্য দখল করে নিয়েছেন। কখনও চেঙ্গিস খাঁ হতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু দিব্যি গর্ব করে বলতে পারেন, তাঁর সুরের সীমারেখা অনেকটা। সাম্রাজ্যর আকার কম নয়। বাংলায় যা করেছেন, একটা শুনলেই পরেরটায় যেতে পারবেন না। উদাহরণ স্বরূপ, নিশিদিন – নিশিদিন, শোনা শুরু করলেন হয়তো। কিন্তু শেষ হয়ে গেলই মনে হবে, ওই শুরুর মন লাগে না,-টা আরও একবার শুনতে। আগের ভালোলাগা থেকে বেড়োতেই তো পারছেন না। পরের গান শুনবেন কখন! হিন্দিতে গিয়েও তো তাই। ধরেই নিন মধুমতী শুনবেন। সেখানেই বা শুনবেন কোনটা কোনটা? আপনার ইচ্ছে করবে সুহানা সফর শোনার জন্য। কিন্তু আপনার মনে বাজবে দিল তরফ তরফ কে ক্যাহে রাহা হ্যায়,। আটের দশকে অমল পালেকরের এত হিট নায়ক হওয়ার পিছনেও খানিকটা কারণ তো সলিল চৌধুরি বটেই। না জানে কিউ, হোতা হ্যায় ইয়ে জিন্দেগিকে সাথ, আচানক ইয়ে মন, কিসিকে জানেক কে বাদ, করে বস উসকে ইয়াদ, ছোটি ছোটি সি বাত। আবার আপনি ‘আনন্দ’-এ ঢুকে পড়লেও যে, ওখান থেকে বেড়িয়ে ফের রজনীগন্ধা ফুল তুমহারে পর্যন্ত আসতে পারবেন না! অসমিয়া, মালয়ালম, কন্নড়, তেলেগু, তামিল, সেখানেও তো রাজই করলেন গিয়ে। একের পর এক ফিল্মের গানে সুর করলেন। আর তা ব্লকবাস্টার হিট করল। লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে বাংলায় গাওয়ালেন, অন্তবিহীন, কাটে না আর যেন বিরহেরও দিন। সেই একই সুর তামিলে গিয়ে যেশু দাসকে দিয়েও গাওয়ালেন, দেবি- দেবি, একদিন শুনেই দেখুন না। একটা গান থেকে আপনাকে আর একটায় যেতেই দেবে না। এই হল সলিল চৌধুরি। তাঁকে সেরা বলব না তো কাকে বলব?

স্ত্রী সবিতা চৌধুরি, মেয়ে অন্তরা চৌধুরি, সবাইকে দিয়ে গান গাওয়ালেন। কী বলবেন স্বজন পোষন? আচ্ছা, তাই মানলাম। করেছেন তো করেছেন। কিন্তু ওইটুকু ছোট অন্তরা চৌধুরিকে দিয়ে গাইয়েছেন কী? ও সোনা ব্যাঙ, ও কোলা ব্যাঙ, সারাদিন ডাকিস...ভাবুন তো, কত বাচ্চা, বড় হয়েছে ওই গানগুলো শুনে। যাঁরা গান তৈরি করেন, তাঁরা তাঁদের ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর জন্য, বোঝানোর জন্য শুধু বড়দেরকে ভেবে গিয়েছেন চিরকাল। ছোটরাও তো তাঁদের থেকে কিছু আশা করে, এদিকটায় কেউ সেভাবে ভাবেইনি। তাই তো শিশু সাহিত্য কম, এটা ঠিক। কিন্তু আরও অনেক বেশি ঠিক যে, ছোটদের জন্য গানই তৈরি হত না বাংলায়। সুকুমার রায়ের বাবা আর সুকুমার রায় নিজে ভাগ্যিস ছোটদের কথা ভাবতেন। তাই বাঙালির ছেলেবেলাটা কেটেছে ‘বইয়ে-ভাতে’। ঠিক সেইভাবেই যদি সলিল চৌধুরি, মেয়ে অন্তরা চৌধুরিকে দিয়ে ওই গানগুলো না গাওয়াতেন, বাঙালির ঘরে ঘরের বাচ্চাগুলোর যে কল্পনাশক্তিই তৈরি হত না। শুধু বাচ্চাদের কথা ভেবেছেন, তাদের জন্য কিছু করতে চেয়েছেন, এই জন্যই তো মানুষটাকে সেরা মানবো।

তিনি বামপন্থী, এমনটাই লোকে ব্যাখ্যা করে তাঁকে। সে তো মানুষ হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় হবে। হোক, তা নিয়ে কোনও বক্তব্য আমার অন্তত এখানে নেই। কিন্তু সুরকার, গীতীকার, লেখক, গায়কের আবার গায়ের রং, লাল কিংবা সবুজ হয় নাকি! সলিল কতটা ব্যতিক্রমী সেটাই বলার চেষ্টা করছি। বামেরা পথে নামলে সেদিন তো বটেই, আজও গান চলে মাইকে, লোকের মুখে মুখে, পথে এবার নামো সাথী, পথেই হবে.... সবাই বলবে, বামপন্থী মানুষ, তাঁর গান বামপন্থী মানুষেরা গাইবে, এতে আর নতুনত্ব কিংবা অস্বাভাবিকত্ব কোথায়? নেই কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই। থাকে তখন, যখন আজকের দিনের তৃণমূলের জনসভাতেও মাইকে বাজে পথে এবার নামো সাথী, পথেই হবে....জানি না, এর ব্যাখ্যা কীভাবে দেবেন। শুধু এটুকু বলতে পারি, এটাই প্রাপ্য সলিল চৌধুরির মতো মানুষের। তিনি আবার কারও, কারও কারও, কোনও দলের, কিছু মানুষের হন নাকি কখনও! তাতে লাভ অল্প কটা মানুষের। ক্ষতি অনেক বেশি মানুষের। যোগ্যকে, যোগ্য সম্মান দেওয়ার জন্য কোনও দল বা পন্থার দরকার হয় না। যোগ্য নিজের যোগ্যতায় জীবনে অথবা মরে যাওয়ার পরও ‘সবার’ হয়ে ওঠেন। সলিল চৌধুরি যে, তাঁর সার্থক উদাহরণ এবং প্রমাণ। বিদ্রোহ আজ, বিদ্রোহ চারিদিকে, শুরুটা যে, তিনিই করে দিয়ে গিয়েছিলেন।

 

.