কেতায় মাত, গল্পে গলদ: এজেন্ট বিনোদ
ছবির নাম কেন্দ্রীয় চরিত্রের নামে-`এজেন্ট বিনোদ`। এক গুপ্তচরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সেফ। চরিত্রটি আকর্ষণীয়। তবে কোনওভাবেই তা জেমস বন্ড কিংবা মিশন ইমপসিবল-এর ইথান হান্টের পাল্লায় আসে না। কাহিনির প্রথম ৩০ মিনিট এতটাই জটিল যে দর্শককে রীতিমত পাজ্ল সল্ভ করতে বসতে হবে। এছাড়া গল্পকে এমনভাবে দু ভাগে ভাগ করা হয়েছে যা দর্শককে পুরোপুরি বিভ্রান্ত করতে যথেষ্ট।
"এজেন্ট বিনোদ"(স্পাই থ্রিলার)
পরিচালক: শ্রীরাম রাঘবন
কাস্ট: সেফ আলি খান, করিনা কাপুর
ছবির নাম কেন্দ্রীয় চরিত্রের নামে-`এজেন্ট বিনোদ`। এক গুপ্তচরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সেফ। চরিত্রটি আকর্ষণীয়। তবে কোনওভাবেই তা জেমস বন্ড কিংবা মিশন ইমপসিবল-এর ইথান হান্টের পাল্লায় আসে না। কাহিনির প্রথম ৩০ মিনিট এতটাই জটিল যে দর্শককে রীতিমত পাজ্ল সল্ভ করতে বসতে হবে। এছাড়া গল্পকে এমনভাবে দু ভাগে ভাগ করা হয়েছে যা দর্শককে পুরোপুরি বিভ্রান্ত করতে যথেষ্ট।
`এক হাসিনা থি` ছবিতে পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন সেফের যে `মাচো` ইমেজ তৈরি করেছিলেন, তার পর স্বাভাবিক ভাবেই দর্শকদের প্রত্যাশা তুঙ্গে ছিল এই ছবি ঘিরে। আলাদা হওয়ার দাবি করলেও নতুনত্বের অভাবে ছবির গল্প কোথাও একটা আটকে পড়েছে গতানুগতিক গণ্ডিতে। ছবির গল্পতে নিউক্লিয়ার বোম্ব বিস্ফোরণের চক্রান্তকারী একটি দলকে খুঁজতে বেরিয়েছেন এজেন্ট বিনোদ। এই মিশন চলাকালীন তাঁর সঙ্গে দেখা হয় এক পাকিস্তানি আইএসআই এজেন্টের, রুবি অর্থাত্ করিনা কাপুর। দৃষ্টিনান্দনিকতার প্রসঙ্গটি বাদ দিলে করিনার রুবি চরিত্রটি অপ্রয়োজনীয় ও আরোপিত। তবে ছবির ক্লাইম্যাক্স বেশ মজাদার।
গল্প এগোতে এমন বহু দৃশ্য রয়েছে ছবিতে যা হয় অর্থহীন অথবা অপ্রয়োজনীয়। অত্যন্ত জটিল একটি গল্প হলেও বুদ্ধিদীপ্ত ডায়লগ এই ছবির ইউএসপি। স্টাইলিস উপস্থাপনা ছবির প্রাণশক্তি। এছাড়া দর্শকদের নজর কাড়ার মত তেমন কোনও উপাদান নেই সেফ-রাঘবনের `এজেন্ট বিনোদ`এ।
কোনও গোয়েন্দা ছবি দেখতে চাইলে এই ছবি দর্শক দেখতেই পারেন। কিন্তু নিঃসন্দেহে বিভ্রান্তি তাদের নিরাশার কারণ হবে।