মুম্বই গণধর্ষণ: টুইটার জুড়ে বলিউডি ক্ষোভের আঁচ
মুম্বইয়ে চিত্র সাংবাদিকের গণ ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশ লজ্জিত। ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ বলিউডও। সেই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ল টুইটারেও।
মুম্বইয়ে চিত্র সাংবাদিকের গণ ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশ লজ্জিত। ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ বলিউডও। সেই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ল টুইটারেও।
শাহরুখ খান- এই জঘন্য ঘটনার জন্য দায়ি যারা, তাদের কঠোর শাস্তি প্রয়োজন। কিন্তু তার থেকেও বেশি জরুরী আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন। আমদের ছেলেদের বোঝাতে হবে মেয়েদের বস্তু ভাবা শুধু মেয়েদের নয় তাদের তথাকথিত পৌরুষের কাছেও সমান অসম্মানজনক।
অমিতাভ বচ্চন- শহরের বুকে দিনের আলোয় গণধর্ষণের শিকার চিত্র সাংবাদিক! ...এই জঘন্য ঘটনায় আমি স্তম্ভিত...
করণ জোহার- এই সময় ক্ষুব্ধ, বিধ্বস্ত মত শব্দ গুলোরও বোধ হয় কোনও মানে হয় না। অসহায় লাগছে... আমার শহরে গণধর্ষণ...আমি লজ্জিত
আলিয়া ভাট- আমি স্তম্ভিত বলারও আর কোনও অর্থ হয় না। কারা যেন বলে রাতের বেলা মেয়েদের বুঝেশুনে সতর্ক হয়ে চলা উচিৎ? আসলে এটা কোনও নির্দিষ্ট সময় বা স্থানের উপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের সমাজের একটা বৃহত্তর অংশ অশিক্ষা, অজ্ঞানতার অন্ধকারে ডুবে আছে। পুরুষত্ব সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা মনে পোষণ করে। এই বন্যদের জন্য কঠোর শাস্তি প্রয়োজন। মুখের ভাষা এরা বোঝে না। কাজে করে দেখালে তবেই এরা বুঝবে।
সোনম কাপুর- মুম্বইয়ের গতকালের ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। এই ধরণের কাজ ভীরুতার চরম নিদর্শন।
ফারহান আখতার- মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং অলস বিচার ব্যাবস্থা...একবার মেয়েদের জীবন কাটিয়ে দেখুন, তাহলে হয়ত তাদের ভয়টা অনুভব করতে পারবেন।
ধর্ষকদের জন্য আরও কঠিন শাস্তি প্রয়োজন। এবার অন্তত শাস্তিদানের ক্ষেত্রে আদালতকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হোক। জেগে ওঠ সিস্টেম!!
বিপাশা বসু- স্তম্ভিত, অনুতপ্ত। মানুষের চামড়ায় এই পশুদের থামানোর জন্য আরও কঠিন শাস্তি প্রয়োজন।
জেনেলিয়া দেশমুখ- ক্ষুব্ধ, বিরক্ত। যে কোনও কারণেই হোক এই নৃশংসতা বেড়েই চলেছে...এখুনি এসব বন্ধ হওয়া প্রয়োজন...কঠোর শাস্তি প্রয়োজন।
বিশাল দাদলানি- মানুষের এই রূপকে আমি ঘৃণা করি। আমাদের রাজনীতিবিদরা মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য কিচ্ছু করছেন না। আর আমরা বসে বসে দেখছি। ভারতের যুবসম্প্রদায় কি এতটা অসহায়? কখন আমারা সবাই উঠে দাঁড়াব? কখন আর বলব যথেষ্ট হয়েছে আর নয়! কখন?
শেখর রাভজিয়ানি- এই পশুদের ভুলে গেলে চলবে না, এরা ক্ষমার অযোগ্য।
অনুপুম খের- এখানে আইনকে দুষ্কৃতীরা ভয় পায় না। ধর্ষণের মামলা বছরের পর বছর ধরে চলে। ধর্ষকরা ফাঁসি কাঠে ঝোলে না। রাজনীতিবিদরা শুধু ক্ষমতার পিছনে ছোটে। সাধারণ মানুষের জন্য ভাবার সময় তাদের নেই।
সন্ধ্যা মৃদুল- তাহলে এবার আমরা কী করব? নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে মোমবাতি হাতে ভিড় করে রাস্তায় হাঁটবো আর পিটিশন সই করব?
কুণাল খেমু- কোনও দিনও ভাবিনি মুম্বই আর গণ ধর্ষণ শব্দটা এক সঙ্গে উচ্চারিত হবে। এক সঙ্গে দুঃখিত আর ক্ষুব্ধ। মুম্বই কোনও এক সময় মেয়েদের জন্য নিরাপদ ছিল।