একে একে সবাইকে 'মেরে' ফেলছে নেট দুনিয়ার 'মিস্টার হোক্স'

মেরে ফেলেছেন টম হ্যাঙ্কস, জনি ডিপ, মর্গ্যান ফ্রিম্যান, জিম কেরি, ব্র্যাড পিট, জ্যাকি চ্যানকে। তার হাতেই মরতে হয়েছে লতা মঙ্গেসকর, ক্যাটরিনা কাইফ, আয়ুষ্মান খুরানা, দিলীপ কুমার, হানি সিং, সোনু নিগমকেও। তবু খিদে মিটছে না নেট দুনিয়ার 'মিস্টার হোক্স' বা 'গুজব কুমার'এর। গতকাল ‘টার্মিনেটর’ খ্যাত হলিউড অভিনেতা আর্নল্ড সোয়ারজেনেগার মৃত্যু গুজবের সর্বশেষ শিকার। এখন দেখা যাচ্ছে একে একে সব সেলেবকে মেরে ফেলছে 'গুজব কুমার'।

Updated By: Aug 30, 2015, 04:10 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: মেরে ফেলেছেন টম হ্যাঙ্কস, জনি ডিপ, মর্গ্যান ফ্রিম্যান, জিম কেরি, ব্র্যাড পিট, জ্যাকি চ্যানকে। তার হাতেই মরতে হয়েছে লতা মঙ্গেসকর, ক্যাটরিনা কাইফ, আয়ুষ্মান খুরানা, দিলীপ কুমার, হানি সিং, সোনু নিগমকেও। তবু খিদে মিটছে না নেট দুনিয়ার 'মিস্টার হোক্স' বা 'গুজব কুমার'এর। গতকাল ‘টার্মিনেটর’ খ্যাত হলিউড অভিনেতা আর্নল্ড সোয়ারজেনেগার মৃত্যু গুজবের সর্বশেষ শিকার। এখন দেখা যাচ্ছে একে একে সব সেলেবকে মেরে ফেলছে 'গুজব কুমার'।

ব্যাপরটা একটু খোলসা করে বলা যাক। ইন্টারনেটে গুজবটা ছড়ায় বিদ্যুতের থেকেও অনেক অনেক বেশি গতিতে। এই সুযোগটা নিয়ে মাঝেমাঝেই উড়ে আসে সেলেব্রিটিদের মৃত্যুর খবর। যা শুনে বাক্‌রুদ্ধ অবস্থায় ভক্তরা সেই খবর পোস্ট করে নিজেদের ফেসবুক, বা টুইটারে। সেই গুজব মৃত্যু সংবাদ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সাদা কোলে ছবিতে RIP লেখা হয়ে যায়। বেঁচে থেকেও মারা যান সেই সেলেব। খবরটা এত মারাত্মক জায়গায় যায় যে সেলেবকে বলতে হয় 'না না, আমি মরে যায়নি'। এই তো ক দিন আগে দিলীপ কুমার অসুস্থ হওয়ার পর এই মিস্টার হোক্স-ই প্রথম প্রচার করেন 'দিলীপ সাহাব নেহি রাহা'। খবরটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই তাদের প্রোফাইলে দিলীপ কুমারের স্মৃতি রোমান্থন শুরু করে দেন। শেষ অবধি অমিতাভ বচ্চনকে টুইট করে জানাতে হয়, সবটাই গুজব।

টম হ্যাঙ্কসই হোক বা হানি সিং। আর্নল্ড সোয়ারজেনেগারই হোক বা সোনু নিগম। এদের মৃত্যু গুজবের প্রক্রিয়াটা অনেকটা একরকম। হানি সিংয়ের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, সঙ্গে ফোটোশপ করে তাঁর রক্তাক্ত ছবি। টম হ্যাঙ্কসের মৃত্যু গুজবে আবার বলা হল তিনি হার্ট ফেল করে মারা গিয়েছেন। খবরগুলো এমনভাবে সুন্দর পরিকল্পনা করে আনা হয়, যা দেখে বোঝাই যায় না আসল কেউ গুজব ছড়াচ্ছেন।

কিন্তু কাদের কাজ এটা? সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা এক নতুন ধরনের সাইবার ক্রিমিনাল। যার কোনও একটি বিশেষ লিঙ্ককে প্রচারের জন্য এমন খবর বেছে নিচ্ছেন যেটা লোকে পড়তে উত্‍সাহিত হবে। এমনকি এমন লিঙ্কগুলি থেক কম্পিউটার, ট্যাব ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

Tags:
.