দ্য ডার্টি পিকচার পারকেক্ট
আশির দশকের দক্ষিণী `সেক্স বম্ব` সিল্ক স্মিতার জীবনের অবদমিত অনুকাঙ্খা ফুটে উঠেছে মিলান লুথরিয়ার বহু প্রতীক্ষিত ছবি `দ্য ডার্টি পিকচার্স`-এ।
আশির দশকের দক্ষিণী `সেক্স বম্ব` সিল্ক স্মিতার জীবনের অবদমিত অনুকাঙ্খা ফুটে উঠেছে মিলান লুথরিয়ার বহু প্রতীক্ষিত ছবি `দ্য ডার্টি পিকচার্স`-এ।
এ গল্প অনামী, ছোট্ট গ্রামের মেয়ে রেশমার স্বপ্নের। এ গল্প, সাফল্যের ট্র্যাকে দৌড় শুরু করে বাস্তবের কংক্রিটে দুম করে আছড়ে পড়ে `সিল্ক` হয়ে যাওয়ার। রুপোলি পর্দায় নায়িকা হওয়ার নেশাতুর স্বপ্নে বিভোর হয়ে `সেক্স সিম্বল`-এ পরিণত হওয়ার, এবং তার পর অনিবার্য একাকিত্বের গহীনে ডুব মারার।
বিদ্যা বালান সহ এই ছবিতে অভিনয় করেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, তুষার কাপুর এবং ইমরান হাসমি। গ্রামের মেয়ে রেশমা (বিদ্যা) দক্ষিণী ছবির হিরোইন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিল শহরে। পর পর `রিজেকশনের` পর একটি `আইটেম নাম্বার` বিখ্যাত করে দিল তাঁকে। হিরোইন হওয়ার স্বপ্নের নাগাল পেলেও বদলে ফেলতে হল ইমেজ থেকে নাম। শুরু হল রেশমা থেকে `সিল্ক` হয়ে ওঠার বিচিত্র কাহিনি। রূপোলি পর্দার `সিল্ক` বিখ্যাত হয়ে গেলেও ব্যক্তিগত জীবনে ক্রমাগত একা হয়ে যেতে থাকে রেশমা।
`সেক্স ইমেজ` তাঁকে অসহনীয় করে তোলে নির্দেশক অ্যাব্রাহাম (ইমরান হাসমি)-এর কাছে। তাঁর যৌন আবেদন থেকে নিষ্কৃতি পায় না অভিনেতা সূর্যকান্ত (নাসিরুদ্দিন)। প্রেমে পড়ে রমাকান্তও (তুষার কাপুর)। যদিও সামাজিক স্বীকৃতি পায় না কোনও সম্পর্কই। প্রবল অপছন্দ আর আকর্ষণের টানাপোড়েনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সিল্কের কাছে বারবার ফিরে যায় অ্যাব্রাহাম।
অসাধারণ অভিনয়ে মুগ্ধ করেছেন বিদ্যা বালান। তুষারের অভিনয়ও মনে দাগ কাটে। তবে সূর্যকান্তর ভূমিকায় নাসিরুদ্দিন এবং অ্যাব্রাহামের ভূমিকায় ইমরানের অভিনয় অবিস্মরণীয়। গল্পের গতি এবং নিটোল বাঁধুনির জন্য মিলান লুথরিয়া অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
এক কথায় `দ্য ডার্টি পিকচার্স` অবশ্যই `মাস্ট ওয়াচ`।