মাথা ব্যথা নেই পোশাক নিয়ে, পছন্দের লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙিয়েই পুজোয় রঙিন হতে চান আর্যা

ডিজাইনার বন্ধুর উপরই ভরসা করে রয়েছেন বলে জানান আর্যা 

Reported By: জয়িতা বসু | Updated By: Oct 2, 2020, 04:52 PM IST
মাথা ব্যথা নেই পোশাক নিয়ে, পছন্দের লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙিয়েই পুজোয় রঙিন হতে চান আর্যা

জয়ীতা বসু : আর কয়েকদিন পর মা আসছেন। করোনা আবহের মধ্যেও বাঙালির পুজোর আনন্দে সেভাবে ভাটা পড়েনি। বাইরে বেরিয়ে কেনাকাটা করতে মানুষ হয়ত সাতপাঁচ ভাবছেন, আর সেই কারণে কোভিড আবহে বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটার ধুম। সাধারণ মানুষের মতো সেলেবরাও তাই নিজেদের মতো করে পুজোর শপিং শুরু করে দিয়েছেন। পুজোর শপিং নিয়ে কথা বলতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম অভিনেত্রী আর্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পুজোর কয়েকটা বাকি, তাই পর্দার 'ফিরকি'-র মা লক্ষ্মী কীভাবে উতসবের জন্য নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিচ্ছেন, তা নিয়েই হয় কথা।

আরও পড়ুন : কোভিড হাসি কেড়েছে বহু মানুষের, তাই পুজোর রং যেন ফিকে স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে

জি ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পর্দার লক্ষ্মী জানান, পুজোটা তিনি গ্রামের বাড়িতেই কাটাবেন। শ্যুটিং-সহ হাজার কাজের জন্য হুগলীর বৈঁচিতে প্রায় যাওয়াই হয় না। তাই শ্যুটিং থেকে কয়েকটা মাত্র দিনের ছুটি নিয়ে আর্যা চলে যেতে চান নিজের পুরনো ভিটেতে। বাবা, মা পরিবারের সঙ্গেই উপভোগ করতে চান উতসবের দিনগুলো। আর তার জন্য কিছু কেনাকাটা তিনি করেছেন। তবে সাজগোজ নিয়ে কোনওদিনই সেভাবে ভাবতে চান না আর্যা। তাই তো ডিজাইনার বন্ধুর উপরই ভরসা করে বসে থাকেন তিনি।

আর্যা বলেন, পুজোয় পরার জন্য এবারে বেশ কিছু কুর্তি তিনি কিনেছেন। সঙ্গে মানানসই গয়না। বিভিন্ন শেডের লিপস্টিকও তাঁর বেশ পছন্দের। পোশাকের সঙ্গে বেশ মানিয়েগুছিয়ে নিয়ে ঠোঁট রাঙাতে চান অভিনেত্রী। তবে সাজগোজের মধ্যে আর্যার সবচেয়ে পছন্দের জিনিস হল ঘড়ি। তাই পুজোর সময়ও আর্যা নিজের মনমত ঘড়ি কিনে ফেলেছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে তাঁর ডিজাইনার বন্ধুর পরামর্শ। তাই তাঁর কথা মতোই পুজোর জন্য বাকি পোশাকগুলো একটু একটু করে কিনে বা তৈরি করে ফেলবেন আর্যা।

তবে বৈঁচিতে বাড়ির পুজো বলে কথা। সেখানে শাড়ি না পরলে হয় না। নবমীতে কুমারী পুজোর দিন মায়ের শাড়ি পরেই ঠাকুর দালানে হাজির হতে চান আর্যা। প্রত্যেকবারের মতো এবারও মায়ের শাড়ি বেছে রেখেছেন বিশেষ দিনে পরার জন্য।

কথায় কথায় আর্যা আরও জানান, তাঁদের বাড়িতে দুর্গা পুজোর পাশাপাশি কালী মন্দিরও রয়েছে। তাই দুর্গা পুজোর সময় কালী পুজোর আয়োজনও করা হয়। একসঙ্গে ভোগ চড়ানো হয় দুই আরাধ্য দেবতাকে। তাই আর্যার কাছে দুর্গা পুজো মানে এক অন্যরকম উতসবের মেজাজ। বাড়ির পুজোতেই থাকার পরিকল্পনা রয়েছে বলে করোনা সেভাবে মন খারাপ করেনি পর্দার ফিরকির মায়ের। তাই তো প্রয়োজনে বাড়ির পুজোয় কাছের বন্ধুদের সেখানে ডেকে নিয়েই উসতবের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে চান অভিনেত্রী আর্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

.