বলিউড যখন সমকামী

বুধবারই সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে বলেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। যতক্ষণ না সংসদ আইন করে এই ধারা লোপ করছে ততক্ষণ সমকামিতা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ভারতীয় ছবিতে বিভিন্ন সময়ে বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে সমকামিতা। বলিউডের সেই সমকামিতা বিষয়ক কিছু ছবির উল্লেখ রইল এখানে-

Updated By: Dec 11, 2013, 08:49 PM IST

বুধবারই সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে বলেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। যতক্ষণ না সংসদ আইন করে এই ধারা লোপ করছে ততক্ষণ সমকামিতা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ভারতীয় ছবিতে বিভিন্ন সময়ে বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে সমকামিতা। বলিউডের সেই সমকামিতা বিষয়ক কিছু ছবির উল্লেখ রইল এখানে-

ফায়ার (১৯৯৭)

ভারতে সমকামী ছবি তৈরির পথপ্রদর্শক দীপা মেটা। তাঁর ট্রিলজির প্রথম ছবি ফায়ার। বৈবাহিক জীবনের সমস্যায় জর্জরিত দুই মহিলার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কাহিনি নিয়ে ফায়ার ভারতে আগুন জ্বলেছিল। বক্সঅফিসে মুক্তি রক্ষণশীল সমাজের ভ্রুকুটি এড়াতে পারেনি ফায়ার।

বমগে (১৯৯৬)

বমগে সমকামিতার ওপর তৈরি ভারতের প্রথম ডকুছবি বমগে। যদিও ভারতে মুক্তি পায়নি এই ছবি। কবি আর. রাজ রাওয়ের লেখার ওপর, মুম্বইয়ের গে সংস্কৃতি নিয়ে গে পরিচালক রিয়াদ ভিঞ্চি ওয়াদিয়ার ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাহুল বোস।

ম্যাঙ্গো সুফলে (২০০২)

৬ বছর পর ম্যাঙ্গো সুফলে বানিয়েছিলেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত মহেশ দত্তানি। একাকিত্বে ভোগা গে ফ্যাশন ডিজাইনারের গল্প কমিক মোড়কে উপস্থাপন করেছিলেন মহেশ। ফায়ারের মতো প্রতিবাদের মুখে না পড়তে হলেও, চুপিচুপি মুক্তি পেয়ে চুপিচুপিই হল থেকে চলে গিয়েছিল ম্যাঙ্গো সুফলে।

কল হো না হো (২০০৩)

মুম্বইয়ের মেনস্ট্রিম ধারায় সমকামিতাকে ব্যঙ্গাত্মক রূপ দিয়েছিলেন করণ জোহর। তবে শুধু সমকামিতা নয়, সমকামিতার প্রতি মানুষের ভুরু কোঁচকানোও করণ তুলে এনেছিলেন ছবিতে। শাহরুখ ও সৈফ আলি খানের গে সম্পর্ক দেখে চমকে ওঠেন ছবির চরিত্র কান্তা বেন।

গার্লফ্রেন্ড (২০০৪)

গে সম্পর্ক নিয়ে ছবি বেশ কিছু হলেও লেসবিয়ান সম্পর্ক নিয়ে ছবি ফায়ারের পর হয়েছে গার্লফ্রেন্ড। দুই বন্ধুর মধ্যে একজন লেসবিয়ান, অন্যজন বাইসেক্সুয়াল। বন্ধুর সঙ্গে সমকামিতার সম্পর্ক ছাড়াও তাঁর জীবনে ছিল প্রেমও। সমকামিতার সম্পর্ক ও স্ট্রেট সম্পর্কের দ্বন্দ্ব, বয়ফ্রেন্ড ও বন্ধুর মধ্যে যৌন হিংসা, নিয়ে এগিয়েছে গার্লফ্রেন্ডের গল্প।

মাই ব্রাদার নিখিল (২০০৫)

প্রথম ছবিতেই গে সমকামিতাকে দারুণ সফলভাবে নিয়ে এসেছিলেন গে পরিচালক ওনির। ভারতের মতো দেশে থেকে সমকামিতার কারণে একঘরে হয়ে যাওয়া থেকে এইডস নিয়ে বাঁধাধরা ধারণা, সর্বোপরি পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, সবকিছুই ওনির তুলে ধরেছিলেন ছবিতে। পরে আই অ্যাম ছবিতেও

হনিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড (২০০৭)

ছটি সদ্যবিবাহিত জুটির হনিমুনের গল্পো। এই ছয় জোড়ার মধ্যেই ছিলেন সমকামী সদ্য বিবাহিত এক পুরুষ। কীভাবে সেখান থেকেই অন্য সমকামী পুরুষের প্রতি আকর্ষণ ও বৈবাহিক সম্পর্কেও নিজেদের নিজেদের পছন্দের জায়গা বেছে নেন তাঁরা।

দোস্তানা (২০০৮)

পাঁচ বছর আবার একই বিষয় রুপোলি পর্দায় নিয়ে আসেন করণ জোহর। অভিষেক বচ্চন আর জন আব্রাহামের সাজানো গে সম্পর্ক বক্সঅফিসে প্রথমবারের জন্য কিছুটা হলেও দর্শকদের আনুকূল্য পেয়েছিল। পরে বম্বে টকিজ ছবিতেও সমকামিতা দেখিয়েছেন করণ।

ফ্যাশন (২০০৮)

ফ্যাশন ছবিতে সমকামিতার অন্য দিক তুলে ধরেন মধুর ভান্ডারকর। সমাজের সামনে নিজের সমকামিতা লুকিয়ে রাখতে বন্ধু মুগ্ধা গডসেকে বিয়ে করেন গে ডিজাইনার সমীর সোনি।

ডোননো হোয়াই...না জানে কিঁউ (২০১০)

তিন বছর আগেও সমকামিতা নিয়ে ছবি ডোননো হোয়াই...না জানে কিঁউ কে সেন্সরবোর্ডের চোখরাঙানির মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকী, সমকামিতার দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য অভিনেতা যুবরাজ পরাশরকে ত্যাজ্য করেছিল তাঁর পরিবার।

.