Jacqueline Fernandez: সাময়িক স্বস্তি! ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপ মামলায় জামিন জ্যাকলিনের
Jacqueline Fernandez: গত ৩১ অগস্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট চার্জশিট জমা করেছে এবং জ্যাকলিনকে কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়। এই মামলায় বেশ কয়েকবার জ্যাকলিনকে সমন পাঠায় ইডি। এমনকী প্রথম চার্জশিটে জ্যাকলিনের নাম পাওয়া যায় অভিযুক্তের তালিকায়।
Jacqueline Fernandez, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ মামলায় নাম জড়িয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই আইনি বিপাকে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। এই মামলার মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই সময় বেশ কয়েকটি বহুমূল্যের উপহার পান জ্যাকলিন। সেই থেকেই বিপত্তি। এই মামলায় বারংবার ইডির জেরার মুখে পড়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সেই মামলায় পাতি কোর্টে জামিন পেলেন জ্যাকলিন। দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের স্পেশাল বিচারক শৈলেন্দ্র মালিক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এই মামলায় জ্যাকলিন জামিন পাওয়ার অন্যতম কারণ, তদন্ত শেষ, ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া হয়েছে চার্জশিট, তাই তাঁকে গ্রেফতার করার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
আরও পড়ুন-Soumitra Chatterjee| Prosenjit Chatterjee: ‘আর দেখা হবে না, মন থেকে মেনে নিতে পারি না’
গত ৩১ অগস্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট চার্জশিট জমা করেছে এবং জ্যাকলিনকে কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়। এই মামলায় বেশ কয়েকবার জ্যাকলিনকে সমন পাঠায় ইডি। এমনকী প্রথম চার্জশিটে জ্যাকলিনের নাম পাওয়া যায় অভিযুক্তের তালিকায়। কিন্তু এরপর যে চার্জশিট জমা পড়ে সেখানে অভিযুক্ত তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জ্যাকলিনের নাম। প্রসঙ্গত, আগে জ্যাকলিনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। সে সময় নানা সম্ভাবনা উঠে এসেছিল। জামিন পেলে দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন জ্যাকলিন, তদন্তে সাহায্য নাও করতে পারেন, এরকম নানা অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন- Aindrila Sharma: বাড়ছে সংকট, নতুন করে রক্তজমাট ঐন্দ্রিলার মস্তিষ্কে
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই জ্যাকলিনের সাপোর্টে এগিয়ে এসেছিলেন ২০০ কোটি আর্থিক তছরুপের প্রধান অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর অর্থাৎ নায়িকার প্রাক্তন। আইনজীবী মারফত মিডিয়াকে একটি চিঠি লিখেছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। তাঁর দাবি এই আর্থিক তছরুপে কোনওভাবেই জ্যাকলিন জড়িত নয়। সুকেশ লেখেন, ‘আর্থিক তছরুপের মামলায় জ্যাকলিনের নাম জড়ানো বা তাঁকে অভিযুক্ত করা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, সেই কারণেই ওঁকে ও ওঁর পরিবারকে উপহার দিয়েছি। এতে ওঁদের কী দোষ! ওঁ ভালোবাসা ছাড়া আর পাশে থাকা ছাড়া কখনও কিছু চায়নি। ওঁকে যা যা উপহার দিয়েছি সেগুলো সব আমার কষ্টার্জিত টাকা থেকে কেনা। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি আমি।’