'যে থালায় খান, সেখানেই ছিদ্র করেন', বলিউড নিয়ে বিজেপির রবি কিষেণকে কড়া আক্রমণ জয়া বচ্চনের

রবি বলেন, দেশের তরুণ নাগরিকদের ধ্বংস করার এ পাকিস্তান ও চিনের এক মিলিত চক্রান্ত। এটা রুখতেই হবে। সরকারকে অনুরোধ করব, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে কঠোর ভাবে এটা দমন করা হোক।

Updated By: Sep 15, 2020, 01:23 PM IST
'যে থালায় খান, সেখানেই ছিদ্র করেন', বলিউড নিয়ে বিজেপির রবি কিষেণকে কড়া আক্রমণ জয়া বচ্চনের
জয়া বচ্চন

নিজস্ব প্রতিবেদন: আনলক-৪ পর্বে সংসদে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই আলোচনায় বিস্তর মেঘ। উত্তর প্রদেশের বিজেপি সাংসদ এবং হিন্দি ও ভোজপুরী ছবির একদা-জনপ্রিয় অভিনেতা রবি কিষেণ গতকাল সুশান্ত সিং রাজপুতের বিরুদ্ধে ওঠা মাদকাসক্তির অভিযোগ এবং তার তদন্তের বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন, দেশের তরুণ নাগরিকদের ধ্বংস করার এ পাকিস্তান ও চিনের এক মিলিত চক্রান্ত। এটা রুখতেই হবে। সরকারকে অনুরোধ করব, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে কঠোর ভাবে এটা দমন করা হোক।

আজ রাজ্যসভায় সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন এ নিয়ে তাঁর মত প্রকাশ করেন। তিনি রবিকে ঠেস দিয়ে এ-ও বলেন, একদিন যাঁরা এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে নাম করেছেন তাঁদের কাছ থেকে এমন কথা আশা করা যায় না। তেলঙ্গানার বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র কে কৃষ্ণসাগর রাও জয়ার বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, জয়া বচ্চন তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সাংসদ হিসেবে যথেষ্ট দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়ই দিয়েছেন। রাজ্য সভায় তাঁর আজকের ভাষণ পুরোপুরি ভন্ডামিপূর্ণ। দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ওপর মাদকচক্রের কালো ছায়া ঘনিয়েছে। মাদকের কবলে পড়ে কমবয়েসি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ এই বিষয়টা নিয়ে তিনি কিছু বললেনই না! ফিল্মি দুনিয়ার তরুণ শিল্পীদের মাদকাসক্তি বা মাদকনির্ভরতা নিয়ে তিনি একটা শব্দও উচ্চারণ করলেন না। অথচ ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরো প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে এবং কেউ কেউ এখন গরাদের ওপারে।

এটা আশ্চর্য যে, জয়াজি বলিউডের সম্মানহানি করা হচ্ছে এই মর্মে রাজ্য সভায় নোটিশ দিলেন। তাঁর কথাবার্তার ধরন-ধারণ খুবই অগভীর এবং লজ্জাজনক। আমি তাঁকে পরিষ্কার করে জিগ্যেস করতে চাই, তিনি কী বা কাকে আড়াল করতে এটা করছেন। বলিউডের অত্যতম সেরা একটি শিল্পী-পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে এই কি তাঁর উচিত প্রতিক্রিয়া। দেখা যাচ্ছে নীতি নৈতিকতা মূল্যবোধ ইত্যাদি নিয়ে তাঁর বা তাঁদের মতো প্রবীণ অভিনেত্রীদের বাহ্যিক উদ্বেগটা পুরোপুরি অন্তঃসারশূন্য এবং স্বার্থগন্ধী।

.