শাশুড়ি, ননদের অত্যাচার, পণের চাপে আত্মঘাতী গায়িকা
জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস
নিজস্ব প্রতিবেদন : আত্মহত্য়া করলেন সুস্মিতা রাজে। কর্ণাটকের জনপ্রিয় প্লে ব্যাক সিঙ্গার সুস্মিতার মৃত্যুর পর জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৮ সালে শরত কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় সুস্মিতা রাজের। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই শরতের বাড়ির লোকজন পণের জন্য সুস্মিতার উপর অত্যাচার শুরু করেন বলে অভিযোগ। শরতের মা বৈদেহী, বোন গীতা নিয়মিত সুস্মিতার উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ করা হয়। স্বামীকে বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি। মা এবং বোনের বিরুদ্ধে শরত কোনও সময় কোনও কথা শুনতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন : ভুল তথ্য ছড়ানোয় বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে ব্যক্তিগত জীবন, নেহার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন হিমাংশ
শুধু তাই নয়, মায়ের কথায় শরত আরও বেশি করে তাঁর উপর অত্যাচার চালাতেন বলেও অভিযোগ করেন সুস্মিতা। আত্মহত্যার আগে নিজের মা-কে এমনই একটি চিঠি লেখেন গায়িকা। শরত এবং তাঁর পরিবারের লোক শাস্তি না পেলে, তাঁর আত্মা কখনও শান্তি পাবে না বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করেন কর্ণাটকের ওই গায়িকা।
সুস্মিতার মৃত্যুর পর মুখ খোলেন তাঁর ভাই সচিন। তিনি বলেন, একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গানের সময় শরতের সঙ্গে তাঁর দিদির পরিচয় হয়। এরপর দুই বাড়ির মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয় এবং তা ছাদনাতলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শরতের সঙ্গে বিয়ে হয় সুস্মিতার। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সুস্মিতার উপর শরতের পরিবার অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ করেন সচিন।