টলিপাড়ায় ট্রেন্ড শ্যুট ফ্রম হোম! বাড়ি থেকে শ্যুটিং নয়, মমতাকে চিঠি ফেডারেশনের
লকডাউন বৃদ্ধির প্রভাব পড়ল বাংলা সিরিয়াল জগতে। রাজ্যে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন শুরু হওয়ায় ১৬ মে থেকে বন্ধ রয়েছে শ্যুটিং। কিন্তু এপিসোড ব্যাঙ্কিং থাকায় প্রাথমিক সমস্যায় পড়তে হয়নি টেলিকাস্টে। যদিও ফের লকডাউন বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজেরাই বাড়ি থেকে শ্যুটিং করছেন নিজেদের ইকুইপমেন্ট দিয়ে। সমস্যার সূত্রপাত্র সেখানেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউন বৃদ্ধির প্রভাব পড়ল বাংলা সিরিয়াল জগতে। রাজ্যে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন শুরু হওয়ায় ১৬ মে থেকে বন্ধ রয়েছে শ্যুটিং। কিন্তু এপিসোড ব্যাঙ্কিং থাকায় প্রাথমিক সমস্যায় পড়তে হয়নি টেলিকাস্টে। যদিও ফের লকডাউন বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজেরাই বাড়ি থেকে শ্যুটিং করছেন নিজেদের ইকুইপমেন্ট দিয়ে। সমস্যার সূত্রপাত্র সেখানেই।
বাড়ি থেকে শ্যুটিং করে ধারাবাহিক করা এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (FCTWEI)। এদের সদস্যদের মতে, শুট ফ্রম হোম করায় এপিসোড চলছে কিন্তু টেকনিসিয়ানরা টাকা পাচ্ছেন না, কারণ কাজ নেই। সেই কারণে বাড়ি থেকে শ্যুটিংয়ের পক্ষে সায় দেয়নি ফেডারেশন।
শুক্রবার সকালে টেকনিশিয়ানদের ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান যে, 'কৃষ্ণকলি', 'রাণী রাসমণি' আর 'বরণ' সিরিয়ালগুলি কেন বাড়ি থেকে অভিনেতা অভিনেত্রীদের দিয়ে শ্যুটিং করিয়ে তা টেলিকাস্ট করছে সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'কেউ ভালবাসার নামে আঘাত দেয়, কেউ তা নিরাময় করে', তুলনায় যশকে এগিয়ে দিলেন নুসরত?
ফেডারেশনের সভাপতির মতে, সিরিয়াল অর্থ হল প্রযোজক-অভিনেতা-টেকনিশিয়ান সবাইকে নিয়ে কাজ করা। তাঁদের বাদ দিয়ে কাজ করলে গুণগত মান যেমন কমবে তেমন ন্যায্য পারিশ্রমিকও পাবেন না তাঁরা। টেকনিশিয়ানরা ধারাবাহিক কোন দৃশ্য পর্যন্ত শ্যুটিং করেছেন, সেটা আমরা নোট করে রাখছি।
যদিও চ্যানেল প্রধানদের মতে বাড়ি থেকে শ্যুটিং করা যাবে না এমন কোনও চুক্তি কোথাও হয়নি। বরং রিপিট টেলিকাস্ট করলে প্রযোজনা সংস্থা, চ্যানেল ক্ষতির মুখে পড়বে বলেই মত তাঁদের। সেক্ষেত্রে ঝকঝকে সেট না পেলেও নতুন গল্প দর্শকদের পৌঁছে দেওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছেন চ্যানেল কর্তারা।