#MeToo: একের পর এক যৌন নিগ্রহের অভিযোগে কাঁপছে ফিল্মপাড়া, লজ্জায় সরে গেলেন মহানায়ক...

Mollywood Controversy: শ্রীলেখা মিত্র থেকে শুরু করে রেবতী সম্পত, বিগত কয়েকদিনে একের পর এক যৌন নিগ্রহের ঘটনায় জেরবার  মালায়ালম ছবির দুনিয়া। একের পর এক অভিনেত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেমা কমিটির রিপোর্টে গোটা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের আসল নোংরা চেহারাটা প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। মঙ্গলবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন কেরলের সর্বোচ্চ শিল্পী সংগঠন আম্মা বা অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়ালম মুভি অ্যাক্টরসের সভাপতি, মালায়ালম ছবির মেগাস্টার। 

Updated By: Aug 27, 2024, 06:29 PM IST
#MeToo: একের পর এক যৌন নিগ্রহের অভিযোগে কাঁপছে ফিল্মপাড়া, লজ্জায় সরে গেলেন মহানায়ক...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিগত কয়েকদিনে মালায়ালম ছবির জগতে একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রীরা। শুধু মালায়ালি অভিনেত্রীই নয়, বাঙালি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও কয়েকদিন আগে মালয়ালম সিনেমা জগতে যৌন নিগ্রহ নিয়ে মুখ খুলেছেন। একের পর এক অভিনেত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেমা কমিটির রিপোর্টে গোটা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের আসল নোংরা চেহারাটা প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। 

আরও পড়ুন- Swastika Mukherjee: 'বহু খেটে খাওয়া মানুষের আয় নির্ভর করে', দুর্গাপুজো বয়কটের বিরোধিতায় স্বস্তিকা...

মঙ্গলবার হেমা কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ভেঙে দেওয়া হল কেরলের সর্বোচ্চ শিল্পী সংগঠন আম্মা বা অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়ালম মুভি অ্যাক্টরস। এই সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন মালায়ালি মেগাস্টার মোহনলাল। এখানেই শেষ নয়, এদিন সম্পূর্ণ কমিটিই ভেঙে দেন তিনি। বিচারপতি কে হেমা কমিটির রিপোর্টের পর সরকার পদক্ষেপ করেছে। দুই বিশিষ্ট লোকের ইস্তফার পর কেরল সরকার সাত সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করে। আইজির নেতৃত্বে এই টিমে রাখা হয়েছে চার মহিলা আইপিএসকে।

আম্মার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কমিটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে কিছু অভিনেত্রী #MeToo-র মতো অভিযোগ তোলায় নৈতিক দায় মাথায় পেতে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিরূপক কমিটি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। সভাপতি সহ সব সদস্য একযোগে ইস্তফা দিচ্ছেন। দুমাসের মধ্যে নতুন কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এমনকী কেরলের অ্যাসিয়েশন অফ মালয়ালম মুভি আর্টিস্টসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা সিদ্দিক। মলিউডে বিগত কয়েকদিনে প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থার ভয়ানক ঘটনা।  

প্রখ্যাত তারকা এম মুকেশ এবং জয়সূর্যের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী মিনু মুনির। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, ২০১৩ সালে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেছেন মুকেশ, মনিয়ানপিল্লা রাজু, ইডাবেলা বাবু এবং জয়সূর্য। সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেন রেবতী সম্পত। ২০১৬ সালে তার লালসার শিকার হন অভিনেত্রী। 

আরও পড়ুন- Daminee Basu: 'আর কোনও অভিনেত্রীর মৃত্যু অবধি অপেক্ষা করতে পারব না', নিরাপত্তার দাবিতে চিঠি উইমেন্স ফোরামের...

রেবতী সম্পত বলেন, 'প্রথমে আমাকে মেয়ে বলে সম্বোধন করতেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর তিনি ফের আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমার কাছে জানতে চান, আমি সিনেমা করতে চাই কিনা। ২১ বছর বয়সে আমি একটি সিনেমার প্রিভিউতে গিয়েছিলাম। সেখানে সিদ্দিক সিটি সেন্টারে আমাকে বিখ্যাত হোটেলে আমন্ত্রণ জানান। সিনেমা নিয়ে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠান। সেখানে ঢুকতেই উনি দরজা বন্ধ করে দেন আমার শারীরিক হেনস্তা করেন। আমি যখন বিধ্বস্ত অবস্থায় ঘর ছাড়ি তখন ওনাকে বলি, আমি সকলকে বলে দেব। এর জবাবে তিনি বলেন, তোমার কথা কে বিশ্বাস করবে, কে চেনে তোমায়, একটা ছবিতে অভিনয় করেছো এখনও'? গীতা বিজয়ন নামে আরেকজন অভিনেত্রী পরিচালক তুলসীদাসের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক আচরণের অভিযোগ এনেছেন। এরকমই একের পর এক যৌন নিগ্রহের ঘটনায় মঙ্গলবার হেমা কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ভেঙে দেওয়া হল কেরলের সর্বোচ্চ শিল্পী সংগঠন আম্মা বা অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়ালম মুভি অ্যাক্টরস। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.