'বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে না', নোবেলের পোস্টে কুমন্তব্যের জোয়ার নেটিজেনদের
নোবেলকে নেশাখোর বলে কটাক্ষ নেটিজেনদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্ত্রীর সঙ্গে বহুদিন আগেই সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। আলাদা থাকছিলেন বহুদিন। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এরপর নোবেলের (Mainul Ahsan Nobel) ঠিকানায় বিবাহ-বিচ্ছেদের নোটিস পাঠান স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নোবেল 'Divorced' কথাটি লিখে পোস্ট করলেই বিষয়টি জানাজানি হয়। কিন্তু এরপরই বদলে যায় সমীকরণ।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে এই সংগীতশিল্পী লেখেন, 'আমার এবং আমার স্ত্রীর মধ্যেকার সকল বিবাদ পারিবারিক ভাবে মীমাংসা করা হচ্ছে। বিগত কিছুদিনের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির জন্য বিনীত ভাবে দু:খিত। বিয়ে একটা পবিত্র প্রথা, অনুগ্রহ করে বেফাস মন্তব্য করে এর পবিত্রতা নষ্ট করবেন না।' এরপরই মন্তব্য সেকশনে ধেয়ে আসে কটাক্ষের তীর। কেউ লিখেছেন, পাগলা কুকুরে কামড়েছে। কেউ আবার লিখেছেন যে নোবেলের নেশার জেরেই সে এইসব পোস্ট করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমকে নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল জানিয়েছেন, বছরখানেক আগেই নোবেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনি নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর কথায়, ''দিনের পর দিন মারধর ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ১১ সেপ্টেম্বর বাধ্য হয়ে নোবেলকে তালাকের নোটিস পাঠাই। নোবেল মানসিকভাবে অসুস্থ, চরমভাবে মাদকাসক্ত। সে একধিক মহিলার সঙ্গে মেলামেশা করত। এসবের যথেষ্ট প্রমাণও আমার কাছে আছে। শুরুতে ভেবেছিলাম, ঠিক হয়ে যাবে। অনেক চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু হয়নি। এসব কারণে ওঁর সঙ্গে সংসার না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই। আমার পরিবারের কানে এসব খবর গেলে তারাও নোবেলের প্রতি খুব বিরক্ত হন।''
জানা যায়, নোবেলের সঙ্গে খুব অল্পদিনের আলাপেই বিয়ে হয় মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদের। হোয়াটসঅ্যাপে কিছুদিন কথাবার্তা প্রেমের পরই তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৯ এর ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেন মইনুল আহসান নোবেল। সালসাবিল বলেন, ''বিয়ের ৬ মাসের মাথায় জটিলতা তৈরি হয়। মূলত মাদক নেওয়া ও অন্য নারীর সঙ্গে মেলামেশায় বাধা দিতে গেলেই আমাকে মারধর করত ও।''
এখানেই শেষ নয়, বেশকিছুদিন আগে স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়েও বিতর্কিত পোস্ট করেন নোবেল। সালসাবিল নাকি গর্ভপাত করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন গায়ক। যদিও তখনই নোবেলের সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন সালসাবিল মাহমুদ। তা নিয়েও কিছু কম বিতর্ক হয়নি। আবার গত অগস্ট মাসে বাংলাদেশের বান্দারবনে এক মহিলাকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে মাতলামি ও মাদক সেবনের অভিযোগও উঠেছিল বাংলাদেশের এই গায়কের বিরুদ্ধে। সেসময়ও তাঁর বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তখনও সরব হয়েছিলেন নোবেলের স্ত্রী।