কম বাজেটের ছবি বাঁচাতে আন্দোলনে ওনির
বলিউড এখন একশো কোটির লক্ষ্যে দৌড়চ্ছে। ছবির বাজেট বাড়ছে হু-হু করে। তেমনি পাল্টাচ্ছে প্রোমোশনের স্ট্র্যাটেজি। এতেই প্রায় মাত্সন্যায়ের মুখোমুখি বলিউড। কোরাউডি রাঠোর, সান অফ সর্দার-এর মতো একশোটির ছবি রিলিজ হওয়ার সময়ে ল্বল্প বাজেট বা কম বাজেটের প্যারালাল ছবিগুলো হলই পাচ্ছে না স্ক্রিনিং-এর জন্য।
বলিউড এখন একশো কোটির লক্ষ্যে দৌড়চ্ছে। ছবির বাজেট বাড়ছে হু-হু করে। তেমনি পাল্টাচ্ছে প্রোমোশনের স্ট্র্যাটেজি। এতেই প্রায় মাত্সন্যায়ের মুখোমুখি বলিউড। কোরাউডি রাঠোর, সান অফ সর্দার-এর মতো একশোটির ছবি রিলিজ হওয়ার সময়ে ল্বল্প বাজেট বা কম বাজেটের প্যারালাল ছবিগুলো হলই পাচ্ছে না স্ক্রিনিং-এর জন্য। এই বিপন্ন অবস্থায় এক অভিনব আন্দোলন শুরু করেছেন এ বছরের ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড-প্রাপ্ত পরিচালক ওনির। আন্দোলনের নাম, সেভ ইন্ডি সিনেমা।
ওনিরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সারা ভারতবর্ষের অন্তত ৪৪ জন পরিচালক। যাঁদের মধ্যে ২৯ জন পরিচালকই একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। আগেই ২৪ ঘন্টাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাত্কারে ওনির জানিয়েছিলেন এই আন্দোলনের পরিকল্পনার কথা। এবার এই আন্দোলনে সামিল হলেন বাংলার স্বনামধন্য পরিচালক গৌতম ঘোষ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত এবং ঋতুপর্ণ ঘোষও। আছেন প্রবাদপ্রতিম পরিচালক শ্যাম বেনেগল, বিশাল ভরদ্বাজ আশুতোয গোয়ারিকর এবং নন্দিতা দাশ ও রাহুল বসুর মতো অভিনেতাও। এমনকি আমির-পত্নী কিরণও যোগ দিয়েছেন এই আন্দোলনে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে এই গোষ্ঠী এক অভিনব পিটিশন দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি, প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে যেমন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকারদের জন্য উন্নতপ্রযুক্তিসম্পন্ন আলাদা হল থাকে, তেমনি ভারতের সব রাজ্যে এই ধরনের অত্যাধুনিক সিনেমাহল চালু করত হবে। যাতে এই সব স্বল্প-বাজেটের ছবিও দর্শকের কাছে বিনা বাধায় পৌছতে পারে। কোনও নোংরা পাবলিসিটির দৌড়ে সামিল না হয়েই।
এছাড়াও, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন ফেসবুক টুইটার এমনকী জিমেল-এর মাধ্যমেও সই সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে দর্শকের কাছ থেকে। এই আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে দর্শকের ভোটকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওনির।