RD Burman birth anniversary: নয় বছরেই সুর বাঁধলেন পঞ্চম, শচীনকর্তা পরে ব্যবহার করেছিলেন সেই গান
রাহুল দেব বর্মন প্রথম যে গানটায় সুর করেছিলেন, সেটি হল, 'অ্যায় মেরি টোপি পলটকে আ'।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওঁর নামেই সুর। উনি পঞ্চম। রাহুল দেব বর্মন। আজ রাহুল দেব বর্মনের জন্মবার্ষিকী। তাঁর গানেই মুখরিত চারদিক। গান বাজছে রেডিও,টেলিভিশন, অনলাইনে। প্রথম ইলেকট্রনিক অর্গানের সঙ্গে ভারতীয় চলচ্চিত্রের শ্রোতা ও দর্শকের আলাপ, চেলো ও বাজ গিটারের সুর থেকে আরবি, লাতিন, পশ্চিমি ঘরানার মিউজিক, এসবে রাহুলই অনবদ্য।
লং ড্রাইভে ড্রাইভিং হুইলে টোকা দিতে দিতে সুর করে ফেলতে পারতেন পঞ্চম। তাঁর কাছের মানুষরাও জানতেন, কাপ-পিরিচ অথবা বোতল বাজিয়ে সুর করার ক্ষমতা ছিল সহজাত। ১৯৬৬-এ মুক্তি পাওয়া ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছবিতে সাফল্য এলেও রাহুল দেব বর্মন প্রথম যে গানটায় সুর করেছিলেন, সেটি হল, 'অ্যায় মেরি টোপি পলটকে আ'। মজার কথা এই গানের সুরটি রাহুল দেব বর্মন করেছিলেন যখন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর! এই গানটি পরে তাঁর বাবা শচীন দেব বর্মন ব্যাবহার করেছিলেন ১৯৫৬ সালের 'মিস্টার ফান্টুস ফিল্মে'।
কখনও বৃষ্টি পড়ার টুপটাপ, কখনও বা ফাঁকা বোতলে ফুঁ দিয়ে মিউজিক কম্পোজ, কখনও বা জলভর্তি বোতলের শব্দের ব্যবহার। গানের শুরু প্রি-লিউড, গানের মাঝে ব্যবহার হওয়া ইন্টারলিউডকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন রাহুল। মিউজিক গ্রাফড মডিউলেশনকে ট্রেডমার্ক বানিয়ে ফেলেছিলেন পঞ্চম।
ছবি আরাধনা। সুরকার শচীন দেব বর্মন। ছবির কাজ শুরু হল, অসুস্থ হয়ে পড়লেন শচীন কর্তা। সহকারী রাহুল দেব বর্মন দায়িত্ব নিলেন অসমাপ্ত কাজের। সকলেই বলেন, পঞ্চমের হাত ধরেই এলেন কিশের কুমার আর 'এক্সিট' হল শচীন কর্তার প্রিয় মহম্মদ রফির। এরপর থেকেই রাজেশ খান্নার প্লেব্যাক ভয়েস হিসাবে এমন জনপ্রিয়তা পান কিশোর যে রফি সাহেবকে একটু একটু করে দূরে সরে যেতে হয়।
মুম্বইতে রাহুল দেব বর্মন সরোদ বাজানো শিখেছিলেন উস্তাদ আলি আকবর খানের কাছে। তবলা বাজানো শিখেছিলেন সমতা প্রসাদের কাছে। এছাড়াও তিনি খুব ভালো মাউথ অর্গান বাজাতে পারতেন। আসলে পঞ্চম জানতেন, সুর শুধু এসে যায় না, তাকে রচনা করতে হয়। ঠিক যেভাবে শিশুকে লালন-পালন করতে হয়। বড় করে তুলতে হয়, সুরকেও গাইতে গাইতে লালন করতেন পঞ্চম।
আরও পড়ুন, KK Death: কেকে'র মৃত্যুর প্রায় এক মাস পর নজরুল মঞ্চে সোনু নিগম, দেখুন ভিডিও