তাঁর গাওয়া গান হিন্দিতে 'লতাদিদি'কে দিয়ে গাওয়ানোয় রেগে যেতেন সলিল চৌধুরীর উপর

প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী সবিতা চৌধুরী। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুস এবং থাইরয়েডের ক্যানসারে ভুগছিলেন। মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই চিকিত্সা চলছিল তাঁর। গত ১৯ মে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তখন থেকে ইএম বাইপাস সংলগ্ন কসবা গোলপার্কে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

Updated By: Jun 29, 2017, 06:42 PM IST
তাঁর গাওয়া গান হিন্দিতে 'লতাদিদি'কে দিয়ে গাওয়ানোয় রেগে যেতেন সলিল চৌধুরীর উপর

ওয়েব ডেস্ক : প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী সবিতা চৌধুরী। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুস এবং থাইরয়েডের ক্যানসারে ভুগছিলেন। মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই চিকিত্সা চলছিল তাঁর। গত ১৯ মে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তখন থেকে ইএম বাইপাস সংলগ্ন কসবা গোলপার্কে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

স্বামী সলিল চৌধুরীর সুরে একের পর এক হিট গান সবিতা চৌধুরীর গলায়।  একাধিক ছবিতেও প্লে ব্যাক করেছেন তিনি। শুধু বাংলা নয়, হিন্দি, মালায়ালাম, কন্নড়, অসমিয়া এবং ওড়িয়াতেও গান করেছেন সবিতা চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সঙ্গীতমহলে। সলিল জায়া হিসাবে পরিচিত হলেও তাঁর ব্যক্তিগত সঙ্গীত জীবন বাংলা সঙ্গীত ইতিহাসের অমূল্য অঙ্গ।

কলকাতার মেয়ে ছিলেন না। বড় হয়েছেন প্রবাসে। তখন নাম ছিল সবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সলিল যখন IPTA তৈরি করেন, তখন থেকেই দুজনের ঘনিষ্ঠতা এবং পরে বিয়ে। ততদিনে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে ""ও আলোর পথযাত্রী'' গানটি। রান্না করতে খুব ভালবাসতেন। কারণ স্বামী সলিলের বিশ্বাস ছিল ভাল গান বানানো আর ভাল রান্না করা একে অপরের পরিপূরক। রান্নাঘরে খুন্তি নাড়তে নাড়তেই চলেছে সঙ্গীত শিক্ষা, একের পর এক কালজয়ী গান।

প্রায়ই রেগে যেতেন, সলিলের উপর। সলিল যে গানগুলি হিন্দিতে লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে গাওয়াতেন, তার বাংলা ভার্সানটা আগেই রেকর্ড করাতেন সবিতা চৌধুরীকে দিয়ে। এই নিয়ে বরাবরের ক্ষোভ ছিল। পরে অবশ্য মজা করে বলতেন, "আমার শিল্পীজীবনে এই ঢের। লতাদিদি আমার গাওয়া গানের হিন্দি ভার্সানগুলোই গেয়েছেন।"

থাইরয়েড ক্যান্সারে ভুগছিলেন বেশ কয়েক মাস। শেষ ইচ্ছা ছিল কলকাতায় নিজের বাড়িতে কাটানোর। স্বভূমেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সবিতা চৌধুরী। সঙ্গীত জগতের এক অধ্যায়ের শেষ হল।

.