Shaan on KK: ‘কখনও ভাবিনি কেকে-র স্মৃতিচারণে ইয়ারোঁ দোস্তি গানটা গাইব!’ চোখে জল শানের...
KK Death Anniversary: মাত্র ৫৩ বছর বয়সে কেকের অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তাঁর কাছের মানুষ থেকে শুরু করে শ্রোতারা। বুধবার তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগে ভাসলেন কেকের অন্যতম প্রিয় বন্ধু শান। এখনও স্টেজে ডুয়েট গাইতে গিয়ে ইমোশনাল হয়ে পড়েন সংগীতশিল্পী।
Shaan, KK, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৩১ মে, ২০২২ কলকাতায় পরপর দুদিন কনসার্ট করছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নথ, যিনি কেকে নামেই জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছিল সেই কনসার্টের ভিডিয়োতে। কলকাতার শ্রোতারা যখন কেকের গানে মুগ্ধ সেই রাতেই দুঃসংবাদ। সাময়িক অস্বস্তি, তারপর হোটেলেই অজ্ঞান হয়ে যান গায়ক। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় সংগীতশিল্পীকে। সেখানেই প্রয়াত হন গায়ক। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে কেকের এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেনি কাছের মানুষ থেকে শুরু করে শ্রোতারা। উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। কনসার্টের অব্যবস্থা থেকে শুরু করে নানা বিষয় নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। চোখের জলে কলকাতা বিদায় জানায় তাঁদের অন্যতম প্রিয় শিল্পীকে। দেখতে দেখতে কেটে গেল এক বছর। বুধবার কেকে-কে শেষশ্রদ্ধা জানালেন তাঁর প্রিয় বন্ধু শান।
আরও পড়ুন- Rooqma Ray: বাবার স্বপ্ন পূরণই একমাত্র লক্ষ্য! নতুন রূপে রুকমা...
প্রিয়বন্ধুর সঙ্গে ২৫টির বেশি গান গেয়েছেন শান। শুধু কাজই নয়, ব্যক্তিগত পরিসরেও তাঁদের বন্দুত্ব সকলেরই জানা। কেকে-র চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারেননি শান। সংগীতশিল্পী বলেন যে কেকে শুধু তাঁর বন্ধু নয়, কেকে আমার পরিবার ছিল। রেকর্ডিং স্টুডিয়ো থেকে শুরু করে একসঙ্গে বহু কনসার্ট করেছেন তাঁরা। কলকাতাতেও একসঙ্গে কনসার্ট করেছিলেন শান-কেকে। শান বলেন, প্রথমবার যখন কেকের মৃত্যু সংবাদ পান, তখন শান মনে করেছিলেন নিশ্চই কেউ তাঁর সঙ্গে মজা করছে। কিন্তু যখন তিনি বুঝতে পারেন যে এটা কোনও মজা নয়, এটা বাস্তব, তখন ভেঙে পড়েছিলেন শান।
শান বলেন যে তাঁদের মধ্যে কেকেই সবচেয়ে বেশি ডিসিপ্লিনড ছিলেন। তিনি হার্ড ড্রিংক্সও পান করতেন না, ধূমপানও করতেন না। কাজ আর পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ব্যালেন্স করতে পারত। এরপরেও কেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল, তা ভাবতেই পারেন না শান। তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই রাখত ও। কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগতভাবে ছিল না, হোয়াটসঅ্যাপও ছিল না। কখনও পার্টিতে যেত না। সবার সঙ্গে দেখা করে গল্প করতেই ভালোবাসত কেকে।’ শান বলেন যে কেকে চলে যাওয়ার পর তাঁর পরিবারও ভীত হয়ে পড়ে, তাঁকে এমআরআই করায়, তবে শান পুরোপুরি সুস্থ।
আরও পড়ুন- Sonu Sood: পরিযায়ী শ্রমিকের পর এবার দুঃস্থ শিশুদের পাশে সোনু, স্কুল তৈরির ঘোষণা...
কেকের মৃত্যুবার্ষিকীতে শান বলেন, ‘এক বছর কেটে গেল। সময় কীভাবে চলে যায়! কিন্তু কেকে এখনও ওর গান দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে। আমি সবসময়েই ওর গানে প্রাণের স্পন্দন পাই। এখন আরও বেশি করে পাই, যখন ও আর আমাদের মাঝে নেই। আমার মনে হয়, ও যেন বলছে যে ও আমাদের মধ্যেই আছে, আমাদের মনে আছে। এখনও যখন স্টেজে ওর আর আমার ডুয়েট কোনও গান গাই, খুবই ইমোশনাল হয়ে পড়ি। আমি কখনও ভাবিনি যে ইয়ারোঁ দোস্তি আমায় কেকে-র স্মৃতিতে গাইতে হবে।’